দড়ির ব্যারিকেডের দু'ধারে মানুষের ঢল। শঙ্খধ্বনি, ঘন্টা বাজছে। কোথাউ আবার আদিবাসী নৃত্য। বাদ যায়নি পুষ্প বৃষ্টি। এই আবহেই ক্লক টাওয়ার থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত এগিয়ে চলেছে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার গাড়ি। সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গেরুয়া স্লোগানে মুখোরিত বর্ধমান শহরের পথঘাট। সঙ্গে চোখে পড়েছে পদ্ম শিবিরের ব্যানার-ফেস্টুন। দলের সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির রোড- শো ঘিরে যেন বাড়তি আবেগ ধরা পড়ল বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে।
রোড-শোর পর বর্ধমান শহরেরসর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেবেন জে পি নাড্ডা। সেখান থেকে হোটেলে ফিরে রাজ্য কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি । তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেনব নাড্ডা । সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ ফের অন্ডাল বিমানবন্দর থকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি।
এ দিন সকালে রাজ্য সফরে এসে অন্ডাল বিমানবন্দরে নামে নাড্ডার উড়ান। সেখান থেকেই কপ্টারে চলে যান কাটোয়ায়। সেখান থেকে কপ্টারে চলে যান কাটোয়ায়। রাধা-গোবিন্দ মন্দিরে পুজো দেন নাড্ডা। সেখান থেকে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।
ওই মঞ্চ থেকেই কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প বাংলা চালু না করতে দেওয়া থেকে চাল চুরি, কাটমানির প্রসঙ্গে টেনে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান জে পি নাড্ডা। বলেন, 'মতার জন্যই কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প থেকে বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত। এখন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে বলছেন বাংলায় কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প চালু হবে। আমি বলছি মমতা দিদি তার আর প্রয়োজন নেই। বাংলায় বিজেপির ক্ষতায় আসা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।'
সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি বলেন, 'তৃণমূল মানেই চাল চোর। কোভিড পরিস্থিতিতে চাল চুরি করেছে তৃণমূল। আমরা রেশন দি, ওরা চুরি করে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামও চুরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষাণ সম্মান নিধি, অয়ুষ্মান ভারত চালু হবেই।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন