নির্বাচন কমিশন অজিত গোষ্ঠীকে আসল 'এনসিপি' হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনের বড় সিদ্ধান্তে বিরাট ধাক্কা খেলেন শরদ পাওয়ার।
লোকসভা নির্বাচনের তোলপাড় মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। নির্বাচন কমিশন অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে 'আসল এনসিপি' বলে ঘোষণা করেছে। অজিত পাওয়ার শিবির ইতিমধ্যেই দলের নাম ও নির্বাচনী প্রতীক পেয়েছেন। কমিশনের এই ঘোষণা অজিত পাওয়ারের জন্য বড় জয় এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে শরদ পাওয়ারের কাছে এক বিশাল ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, যে বিতর্কিত অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে 'বিধায়ক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পরীক্ষা' অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে এনসিপি নির্বাচনী প্রতীক পেতে সাহায্য করেছে। শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীকে সংগঠনের জন্য নতুন নাম বাছার জন্য বলা হয়েছে। সেই মত কমিশনের কাছে দলের নতুন নামের জন্য তিনটি প্রস্তাবিত নাম জমা দিতে হবে। ৬ মাস ধরে ১০ টিরও বেশি শুনানির পরে, নির্বাচন কমিশন এনসিপি-তে চলমান বিরোধের নিষ্পত্তি করে এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর পক্ষে রায় দেয়। উল্লেখ্য অজিত পাওয়ার ২ জুলাই মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিয়েছিলেন।
২রা জুলাই, ২০২৩-এ এনসিপিতে বিভাজন সামনে আসে। অজিত পাওয়ার তার শিবিরের বিধায়কদের নিয়ে মহারাষ্ট্রের এনডিএ- সরকারে যোগ দেন এবং মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কুর্সিতে বসেন। এনসিপি থেকে বেরিয়ে আসার পরই অজিত পাওয়ার এনসিপির উপর নিজের অধিকারের দাবি তুলেছিলেন। এরপর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। উভয় শিবিরই নির্বাচন কমিশনের সামনে নিজ নিজ যুক্তি উপস্থাপন করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন 'আসল এনসিপি' কে তা জানিয়ে দিয়েছে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ইন্ডিয়া জোটের জন্য বড় ধাক্কা। এখন দলের নতুন নাম ও প্রতীক নিয়ে ভাবতে হবে শরদ পাওয়ারকে। এর আগে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার মধ্যে বিভাজন সামনে আসে। সেই ঘটনায় আসল শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরের কাছ থেকে দলীয় নাম ও প্রতীক ছিনিয়ে নেন শিন্ডে শিবির।
কমিশনের সিদ্ধান্তের পর অজিত পাওয়ার বলেন, "দলের কিছু ঘটনার প্রেক্ষিপ্তে আমাদেরকে ন্যায়বিচারের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে হয়। উভয় পক্ষই তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছিল, কিন্তু গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতাই শেষ কথা। অবশেষে, দলের নাম এবং প্রতীকের রায় আমাদের পক্ষে এসেছে । আমরা কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই,”।
এনসিপি রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুনীল তাটকরে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে "সত্যের জয়! গণতন্ত্রের জয়!" বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে 'পাওয়ার' হাতছাড়া হতেই শরদ শিবিরের অন্যতম বড় মুখ অনিল দেশমুখ বলেছেন, ‘যা ঘটল, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের হত্যার সমান'।