নন্দীগ্রামে ভোটের ফলাফল পুনর্গণনা মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির কৌশিক চন্দ। পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থাকে 'কলুষিত' করার অভিযোগে মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে তিনি।
একুশের বিদানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফলাফল পুনর্গণনার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী। মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে।
কিন্তু বিচারপতি চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। বিচারপতি কৌশিক চন্দের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েক জনের ছবিও প্রকাশ করেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন ও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। চন্দের এজলাসে মামলার বিচার হলে তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে জানায় জোড়া-ফুল শিবির। এরপরই নন্দীগ্রামে ভোটের ফলাফল পুনর্গণনা মামলা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের কাছে আর্জি জানানো হয়।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন বেলা ১১টা নাগাদ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। মামলা থেকে সড়ে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি। এছাড়াও, বিচার ব্যবস্থাকে 'কলুষিত' করার অভিযোগে মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তিনি। বিতারপতি চন্দ বলেন, ' যদি একজন আইনজীবী কোনও দলের হয়ে দাঁড়াতে পারেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে না। একজন বিচারপতিও সাধারণ মানুষ। তাঁরও কাউকে ভাল লাগতে পারে। তবে কাজের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।' নির্দেশে বলা হয়েছে যে, বার কাউন্সিলে এই জরিমানার অর্থ জমা দিতে হবে। করোনার জন্য সেই টাকা খরচ হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন