বিজেপিতে যোগ দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের উপস্থিতিতে এদিন বিজেপিতে যোগ দেন কংগ্রেস ত্যাগী এই নেতা। মধ্যপ্রদেশ থেকে বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী করা হল সিন্ধিয়াকে। মঙ্গলবার সকালে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য।
পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের চারবারের সাংসদ বলেন, 'কংগ্রেস আজ আর তার আগের অবস্থানে নেই। ২০১৮ সালে অনেক স্বপ্ন নিয়ে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠন করেছিল। মানুষের বহু আশা ছিল এই সরকারের উপর। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রিতির কিছুই পালন করা হয়নি।' মধ্যপ্রদেশ সরকার দুর্নীগ্রস্ত বলেবিজেপি দফতরে দলের সভাপতি নাড্ডার পাশে বসেই মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে কটাক্ষ করেন জ্যোতিরাদিত্য। গত দেড় বছরের কৃষকরাও দেনা মুকুব হয়নি বলে দাবি করেন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই নেতা।
আরও পড়ুন: বেকায়দায় কমলনাথ সরকার, মুখ খুললেন রাহুল
দলে জায়গা ঠাঁই দেওয়ার জন্য এদিন প্রদানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন জ্যোতিরাদিত্য।
বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এদিন জ্যোতিরাদিত্যকে বিজেপিতে স্বাগত জানান। বলেন, 'নিজের পরিবারে শামিল হলেন জ্যোতিরাদিত্য। রাজমাতা জনসংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এবার তাঁর নাতিও বিজেপিতে। খুব আনন্দের দিন।'
আরও পড়ুন: সিন্ধিয়াকে দিয়েই কি শেষ, নাকি তরুণ প্রজন্মের আরও অনেকে কংগ্রেস ছাড়ার লাইনে?
সিন্ধিয়ার সঙ্গেই মঙ্গলবার কংগ্রেসে ছেড়েছেন ২২ জন বিধায়ক। ১৯ বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন বিধানসবা থেকে। এই পরিস্থিতিতে সরু সুতোর উপর ঝুলছে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার। সিন্ধিয়া অনুগামী বিধায়কদের সমর্থন হারানোয় কার্যত সংখ্যালঘু কংগ্রেস সরকার। যেকোনও সময় কমলনাথ সরকারের পতন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: সংকটে কমলনাথ সরকার: নজরে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকারের ভূমিকা
রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া নিয়ে কংগ্রেস-সিন্ধিয়া মনোমালিন্যের সূত্রপাত। ২৬ মার্চ রাজ্যসভার ভোট। আসন সংখ্যার নিরিখে মধ্যপ্রদেশের তিন আসনের ২টিতে এর আগে কংগ্রেস প্রার্থীর জয় নিশ্চিত ছিল। এই আসনের একটিতে নিজে ও অপরটিতে তাঁর অনুগামীকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। ১৩ মার্চ মনোময়ন জমার শেষ দিন হলেও দোলের দিন পর্যন্ত হাইকমান্ড এপ্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি। তারপরই মোদী-শাহের সঙ্গে আলোচনার পর কংগ্রেস ছাড়েন জ্যোতিরাদিত্য। ইস্তফাপত্রে তিনি জানান, কংগ্রেসে থেকে মানুষের সেবা করা যাচ্ছে না।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন