বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের কাছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অভিযোগ উঠল। বিক্ষোভের ভিডিও নিজেই টুইট করে একথা জানিয়েছেন স্বয়ং বিজয়বর্গীয়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। মমতা সরকারকে দুষে কৈলাশের টুইট, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে এই অরাজক সরকার থাকলে যা কিছু ঘটতে পারে। এখানে কেউ নিরাপদ নন’’।
ঠিক কী অভিযোগ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের?
টুইটারে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা লিখেছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পথে নবগ্রামের কাছে আমায় ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। পুলিশ সুপার, ডিজি ফোন তোলেননি। এই অরাজক সরকারের আমলে কেউ নিরাপদ নন’’। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের দেওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কয়েকজন। বিক্ষোভ থেকে কৈলাশকে সামাল দিচ্ছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা।
আরও পড়ুন: ‘কা…কা’! নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নয়া নামকরণ হল মমতার মিছিলে
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের টুইটার থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট।
আরও পড়ুন: ‘আধার-ভোটার কার্ড নহি চলেগা! বিজেপি কা মাদুলি চলেগা?’, শাহকে প্রশ্ন মমতার
অন্যদিকে, মালদার ইংরেজবাজারের কাছে গ্রেফতার হলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর যাওয়ার পথে তাঁদের গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। যদিও গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘এলাকায় প্রচুর জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে (পড়ুন, সম্প্রতি সিএএ বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে। একাধিক জায়গায় রেলের সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ )। হরিশ্চন্দ্রপুর, ভালুকায় রেলের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। যেখানে সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল। আমি ও নিশীথ প্রামাণিক হরিশ্চন্দ্রপুর যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথেই ৩২০ মোড়ে আমাদের আটকে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয় আমাদের। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়’’।