West Bengal By-Poll 2019 Results Latest News: হ্য়াট্রিক। বিরাট সাফল্য তৃণমূলের। উপনির্বাচনে বাংলার তিনটি কেন্দ্রেই জয় পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। করিমপুরে জোড়াফুলের প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান বাড়ল। ধরাশায়ী লোকসভায় রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসা বিজেপি।
আরও পড়ুন: বিজেপির ঔদ্ধত্যের রাজনীতি পরাজিত হয়েছে: ‘বিজয়িনী’ মমতা
২১ বছর পর কালিয়াগঞ্জে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তপনদেব সিং। লোকসভা ভোটের নিরিখে কালিয়াগঞ্জে প্রায় ৫৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ক্রমশ এই কেন্দ্রে সংগঠন পোক্ত হচ্ছে বলেও দাবি করে গেরুয়া শিবির। সেই বিজেপি গড়েই উপনির্বাচনে ফুটল ঘাস-ফুল। অন্যদিকে, খগড়গপুর কোনওদিনই তৃণমূলের ছিল না। দীর্ঘদিন এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জ্ঞানসিং সোহন পাল। এরপর ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রের দখল নেয় বিজেপি। জেতেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটেও খড়গপুর সদরে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। এবার উপনির্বাচনের লড়াই ছিল হাড্ডাহাড্ডা। সকালে কং-বাম জোট এগিয়ে গেলেও পরে শীর্ষে চলে যায় বিজেপি। গণনা এগতেই অবশ্য চমক। বিজেপিকে পিছনে ফেলে ক্রমশ এগিয়ে যায় তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। ২০, ৮১১ ভোটের ব্যবধানে জয় পান শাসক দলের প্রার্থী। করিমপুরে লোকসভায় এগিয়েছিল তৃণমূল। সেই ব্যবধান আরও বাড়ল ঘাস-ফুলের।
আরও পড়ুন: খড়গপুরে ঐতিহাসিক জয় তৃণমূলের, প্রশ্নের মুখে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব
লোকসভার প্রেক্ষিতে কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর সদর বিধানসভায় প্রায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যবধানে এগিয়ে ছিল পদ্ম শিবির। নদিয়ার করিমপুরে ১৩ হাজারের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার বিলোপ এবং সাম্প্রতিকতম অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মতো জাতীয় স্তরে আলোড়ন ফেলে দেওয়া ঘটনার পরে এই প্রথম রাজ্যে কোনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফলেই স্পষ্ট লোকসভা নির্বাচনের সময়কার গেরুয়া হাওয়া ক্রমশ ফিকে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল হারানো জমিপুনরুদ্ধারে সফল। বাম ও কংগ্রেসের আসন সমঝোতা প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ।
Live Blog
West Bengal By-Poll 2019 Results Latest News: চলছে রাজ্যের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোট গণনা। এ সংক্রান্ত সব আপডেট-এর জন্য চোখ রাখুন এখানে...
খড়গপুরের পর কালিয়াগঞ্জেও সকাল থেকে এগিয়ে থাকা বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, করিমপুরে ব্যবধান বাড়ানোর ধারা অব্যাহত রেখেছে জোড়াফুল শিবির। রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা ঘিরে টানটান উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, কালিয়াগঞ্জ উপ নির্বাচনের ৮ম রাউন্ড গণনা শেষে ২,১৮৫ ভোটে এগিয়ে রাজ্যের শাসক দল। খড়গপুরে ১৩ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে এগিয়ে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থূ। করিমপুরে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন জোড়াফুল শিবিরের প্রার্থী বিমলেন্দু সিং রায়। তাঁর ব্যবধান ক্রমশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭,৭৫১।
রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা ঘিরে টানটান উত্তেজনা। করিমপুর ও খড়গপুরে এগিয়ে তৃণমূল। অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জে এগিয়ে বিজেপি। জানা গিয়েছে, খগড়পুরে ষষ্ঠ রাউন্ডের গণনা শেষে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার এগিয়ে রয়েছেন প্রায় ১১,২৫২ ভোটে। নদিয়ার করিমপুরে তৃতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে তৃণমূলের বিমলেন্দু সিং রায় প্রায় ২৩, ৫৮৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। কালিয়াগঞ্জে প্রথম থেকেই এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার। তবে পঞ্চম রাউন্ডের গণনা শেষে তাঁর ব্যবধান কমেছে। জানা যাচ্ছে এই কেন্দ্রে প্রায় ৩,২৫৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
কালিয়াগঞ্জে দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা শেষ। বজায় রয়েছে প্রথম রাউন্ডের গণনার প্রবণতা। দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে কালিগঞ্জে এগিয়ে বিজেপি। জানা গিয়েছে ১৮৯৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছে পদ্ম শিবিরের প্রার্থী। অন্যদিকে, খড়গপুরে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাঁ। চতুর্থ রাউন্ডের গণনা শেষে তিনি এগিয়ে রয়েছেন ৮০০ ভোটে। করিমপুরে তৃতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ। প্রায় ১৪,৯২২ ভোটে এগিয়ে জোড়া-ফুল শিবির।
তিন বিধানসভা কেন্দ্রেই উপনির্বাচনের প্রথম রাউনন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার। ১৬০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। খড়গপুর সরদ কেন্দ্রে ৯৮০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জণ মণ্ডল। অন্যদিকে, করিমপুরে প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ। ৪, ৬৪৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
শুরু হয়ে গেল রাজ্যের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচণের গণনা। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে গণনা হবে মোট ১০ রাউন্ড। নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের গণনা হবে মোট ১৪ রাউন্ড। খড়গপুর কেন্দ্রে এবার বিজেপি ও তৃণমূলের সম্মানের লড়াই। এই কেন্দ্রে উপননির্বাচনের গণনা হবে মোট ১৬ রাউন্ডে।
নির্বাচন চলাকালীন করিমপুরের পিপুলখোলায় বিজেপি প্রার্থীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে রাস্তায় ফেলে কিল, চড়ের পাশাপাশি লাথি মেরে ঝোপের ভিতর ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই জয়প্রকাশকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। তৃণমূল যদিও এই মারধরেরর সঙ্গে তাদের যোগাযোগের অভিযোগ অস্বীকার করে। বিজেপির তরফে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বিরাট সাফল্য তৃণমূলের। উপনির্বাচনে বাংলার তিনটি কেন্দ্রেই জয় পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। করিমপুরে জোড়াফুলের প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান বাড়ল।
“এনআরসি-র জন্যই হেরে গেলাম”। দেশভাগের ক্ষত বুকে বেঁচে থাকা বাংলায় এনআরসি-ই কাল হল পদ্মশিবিরের, অন্তত কালিয়াগঞ্জে হারার এটাই কারণ বলে জানাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকার। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে এই বিধানসভায় ছাপান্ন হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। অথচ, বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফলে এখানে তৃণমূল প্রার্থী তপনদেব সিং-এর কাছে ২৩০৪ ভোটে পরাজিত হতে হল বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকারকে। বিস্তারিত পড়ুন: ‘তৃণমূল না এনআরসি-র কাছে হেরে গেলাম’
খড়্গপুরে এবার বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য় সভাপতি তথা ওই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক দিলীপ ঘোষের সম্মানের লড়াই ছিল। আর সেই লড়াইতে একেবারে হেরে গেলেন দিলীপ ঘোষ। নির্বাচনের দিন নিজে এমএলএ বাংলোতে থেকে ভোট পরিচালনা করেছেন। তবুও হারতে হল দলকে, ফলে তাঁর নেতৃত্ব প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।খড়গপুরে প্রথমে তিনজন বিজেপির হয়ে প্রার্থীপদ দাখিল করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন লড়াইতে থেকে যান। প্রার্থী নিয়ে দলের অভ্য়ন্তরে তীব্র অসন্তোষও প্রকাশ্য়ে চলে আসে। শেষ পর্যন্ত দলের জাতীয় কর্মসমিতির দীর্ঘ কালের সদস্য় প্রদীপ পট্টনায়ক নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াইতে থেকে যান। তিনি দাঁড়ানোয় ভোট কাটার থেকে বড় বিষয় হয়ে দাড়ায় গেরুয়া জনতার ভাবাবেগ। বিস্তারিত পড়ুন: খড়গপুরে ঐতিহাসিক জয় তৃণমূলের, প্রশ্নের মুখে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব
প্রথমবারের জয়ের স্বাদ কালিয়াগঞ্জে। অনন্দে আত্মহারা তৃণমূল কর্মী, সংর্থকরা।
গেরুয়া গড় কালিয়াগঞ্জেই পরাজিত বিজেপি। খড়গপুরও নিজেদের দখলে রাখতে ব্যর্থ পদ্ম শিবির। করিমপুরে গণনার যেদিকে এগোচ্ছে তাতে তৃণমূল প্রার্থীর জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা বলা চলে। উপনির্বাচনের ফলাফলের আভাস, রাজ্যে ৬ মাস আগে যে গেরুয়া ঝড় লক্ষ করা গিয়েছিল তা ক্রমশ নিম্নমুখী। বিরাট সাফল্য তৃণমূলের। ২০২১ সালে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখছে মোদী-অমিত শাহরা।রাজ্যের তিন কেন্দ্রের ফলাফল সেই স্বপ্নে বিরাট ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। ফলাফলে কার্যত হতাশ বিজেপি নেতা, কর্মীরা। লক্ষ্মীবারে সকাল থেকেই তাই খাঁ খাঁ করছে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সরদ দফতর। পার্টি অফিসের সামনে নেই চিরাচরিত ভিড়। আসেননি কোনও নেতা।
ছবি: শশী ঘোষ
তৃণমূলের ইতিহাসে যে জয় চিরকাল অধরাই ছিল, বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফলাফল তাই এনে দিল। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে কঠিন জয় হাসিল করার পর এমন প্রতিক্রিয়াই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুরেও জয়ের কাছাকাছি তাঁর দল এবং করিমপুরেও ক্রমশ ব্যবধান বাড়াচ্ছে জোড়াফুল প্রতীক। কিন্তু সব মিলিয়ে একশো শতাংশ সাফল্য কীভাবে সম্ভব হল? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপির ঔদ্ধত্যের রাজনীতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই জয়ের পিছনে শুধুমাত্র এনআরসিকেই একমাত্র কারণ হিসেবে মানতে নারাজ মমতা। তিনি বলেন, বিজেপির আমলে দেশজুড়ে বেকারত্ব, অর্থনীতির বেহাল অবস্থা, ভিন রাজ্যে বাংলার মানুষদের খুন হওয়ার ঘটনা সবকিছুই কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মমতা আরও বলেন, বাংলার মানুষ ভালোবাসতে জানে, তাঁরা হিংসাকে প্রশয় দেয় না। বিস্তারিত পড়ুন: বিজেপির ঔদ্ধত্যের রাজনীতি পরাজিত হয়েছে: ‘বিজয়িনী’ মমতা
খগড়গপুর কোনওদিনই তৃণমূলের ছিল না। দীর্ঘদিন এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জ্ঞানসিং সোহন পাল। এরপর ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রের দখল নেয় বিজেপি। জেতেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটেও খড়গপুর সদরে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। এবার উপনির্বাচনের লড়াই ছিল হাড্ডাহাড্ডা। সকালে কং-বাম জোট এগিয়ে গেলেও পরে শীর্ষে চলে যায় বিজেপি। গণনা এগতেই অবশ্য চমক। বিজেপিকে পিছনে ফেলে ক্রমশ এগিয়ে যায় তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। ২০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পান শাসক দলের প্রার্থী।
চমক খড়গপুর সদর কেন্দ্রে। । প্রথম রাউন্ডের শেষে খড়গপুর কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। পরে পিছিয়ে পড়েন তিনি। এগিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু পঞ্চম রাউন্ডের গণনা শেষ ফের চমক। বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে ব্যবধান বাড়ান তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। এখনও এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার-ই। ১৩ রাউন্ডের গণনা শেষে ১৭,৩০৪ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
ছবি: অভিষেক রায়
জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তপনদেব সিংকে নিয়ে আনন্দে মাতলেন দলের কর্মীরা।
কালিয়াগঞ্জে জয়ী তৃণমূল। উচ্ছ্বাস রাজ্যের শাসক দলের কর্মী, সমর্থকদের।
শক্ত ঘাঁটি কালিয়াগঞ্জ ধরাশায়ী বিজেপি। জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তৃণমূল প্রার্থী তপন সিং। গণনার শুরু থেকেই এই কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার। কিন্তু গণনা এগোতেই ক্রমশ ব্যবধান কমতে থাকে তাঁর। ষষ্ঠ রাউন্ডের গণনা শেষে দেখা যায় পদ্ম প্রার্থীকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের তপন সিং। ক্রমশ ব্যবধান বাড়তে থাকে জোড়া-ফুল শিবিরের প্রার্থীর। শেষ পর্যন্ত ২,৩০৪ ভোটের ব্যবধানে জয় পান তৃণমূল প্রার্থী।
লোকসভা ভোটের নিরিখে কালিয়াগঞ্জে প্রায় ৫৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ক্রমশ এই কেন্দ্রে সংগঠন পোক্ত হচ্ছে বলেও দাবি করে গেরুয়া শিবির। সেই বিজেপি গড়েই উপনির্বাচনে ফুটল ঘাস-ফুল।
তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। খড়গপুর ও কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল বিজেপি লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডা। বেলা বাড়তেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন রাজ্যের শাসক দলের কর্মী, সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে শুরু হয়েছে সবুজ আবির খেলা।