আবারও ভাঙল বিজেপি। মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিত দাসের পর এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। ফলে ৭৭ থেকে কমতে কমতে বর্তমানে বাংলায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ল ৭১-এ।
শনিবার দলীয় কার্যালয়ে সৌমেন রায়ের হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়া। ফের ঘরওয়াপসি হওয়ার পর কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক বলেন, "দিদি গত ১০ বছর ধরে বাংলার সবস্তরের মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে। মাঝের যে সময়টুকু আমি ছিলাম না সেটার আমার ভুল। আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি দলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। দিদির উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের সঙ্গে আগামিতে থাকতে চাই। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপির রাজনীতির মেলে না। ওরা ভাগাভাগির রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এটা বাঙালিরা মানবে না।"
গত পরশু উত্তরবঙ্গে বিজেপির বৈঠকে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় হাজির ছিলেন। বিরোধী বিধায়কদের কাজ না করতে না দেওয়ায়, জেলাশাসকদের অসহযোগিতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। তবে ভিতরে ভিতরে যে তিনি বেসুরো তা বোধহয় পদ্ম নেতাদের কেউই বুঝতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ঘরওয়াপসিই ঘটল আরও এক বিজেপি বিধায়কের।
আরও পড়ুন- ‘কমিশন প্রভাবিত হয়েছে-তদন্ত হোক’, ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘোষণায় ফুঁসছেন দিলীপ
আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরেই উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর, ওই দিনই ভোট বাংলার ২ কেন্দ্রে
তৃণমূলের দাবি, এখানেই শেষ নয়। বিজেপি একাধিক বিধায়ক জোড়া-ফুলে নাম লেখাতে আবেদন নিবেদন করছেন। এরপর আর কোন কোন বিজেপি বিধায়ক তৃণমলে নাম লেখাতে পারেন? জবাবে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক। সৌমেন রায় বলেন, "শুধু এইটুকু বলতে পারি যে দিদির উন্নয়নকে সামনে রেখে আরও কিছু ঘটবে। শুধু অপেক্ষা করুন।"
দলবদলু বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগের নিশানায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সত্যি কী সমস্যায় পড়লে বিজেপি বিধায়করা ফোনে পান না শুভেন্দুকে? সৌমেন রায়ের কথায়, "শুনেছি তাঁকে ফোনে পাওয়া যায় না। তবে, আমার প্রত্যক্ষবাবে এই অভিজ্ঞতা নেই। কারণ আমি ঘটনাচক্রে বিধায়ক হয়েছি। কোনও দিনই ওনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করিনি।"
যোগদান অনুষ্ঠানে তৃণমূল মহাসচিব বলেন, "আমাদের দল থেকে যারা অন্য দলে চলে গিয়েছিলেন তাদের কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই আমরা দলে ফিরিয়ে নিলাম। বিজেপির বিধায়ক সৌমেন রায় দলে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছিল। উন্নয়ের কাজে শামিল হতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাশে থাকতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁকে তৃণমূলে ফেরানো হল।"
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন