নারদা-কাণ্ডে দলের নেতামন্ত্রীদের গ্রেফতারির দিনের বেনজির ভাষায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ। জগদীপ ধনকড়কে ‘রক্তচোষা’, ‘পাগলা কুকুর’ বলে আক্রমণ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীদের রোষ গিয়ে পড়ল রাজভবনের উপর। সোমবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে ধর্না শুরু করার কিছু পরেই রাজভবনের একাধিক গেটের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা।
রাজভবনের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। বেশির ভাগ মানুষের ভিড় ছিল রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে। সেখানে প্রথমে রাস্তার উপরে বসে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। পরে সেখান থেকে সরে গেটের সামনে বসেন তাঁরা। কেউ কেউ রাজভবনের গেট বেয়ে উঠে দলীয় পতাকা লাগানোর চেষ্টাও করেন।
পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টাও করেন। তবে তাতে ফল হয়নি। বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘ধৃত ৪ জনকে নিঃশর্তে মুক্তি দিক সিবিআই। না হলে, যতক্ষণ না অভিযুক্তদের ছাড়া হবে, তত ক্ষণ আমরা বিক্ষোভ দেখাব। তাতে যত রাত হয় হোক। রাজ্যপালই যত নষ্টের গোঁড়া।’
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কল্যাণের মন্তব্য, ‘রাজ্যপাল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। রাজ্যপাল বিজেপি-র পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। রাজ্যপাল মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন না কেন? রাজ্যপাল বিজেপি-র কথা শুনছেন। রাজ্যের সঙ্গে কোনও পরামর্শই করেননি।’
গ্রেফতার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ভঙ্গ করা হয়েছে বলে দাবি কল্যণের। ধনখড়কে আক্রমণ করে কল্যাণের বক্তব্য, ‘২০১৬-র মামলা। এখন কেন গ্রেফতার করতে হল? এই রাজ্যপাল রক্তচোষা, পাগলা কুকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’’
নিজাম প্যালেসে বিক্ষোভের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে টুইট করেন রাজ্যপাল। মমতার নাম উল্লেখ করে তাঁর টুইট, ‘আপনাকে আমার অনুরোধ, সংবিধান মেনে চলুন। আইন ভাঙবেন না।‘ নিজাম প্যালেসে বিশৃঙ্খলার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন ধনখড়।