মুখ্যসচিব ও ডিজি-কে তলব সম্পূর্ণ 'বেআইনি' ও 'সংবিধান বিরোধী'। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখে সে কথা জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। সেই প্রেক্ষিতেই শুক্রবার রাজ্যপালের রিপোর্টের পর পরই বাংলার মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরই সেই তলব 'বেআইনি' ও 'সংবিধান বিরোধী' বলে দাবি করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই কথাই চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে জানালেন তিনি।
চিঠিতে উল্লেখ, ভারতীয় সংবিধান অনুসারে আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তাহলে কীভাবে রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হল? রাজনৈতিক চাপেই কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরণের কাজ করছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের এই আইনজীবী সাংসদ।
গতকালই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে তলব পেয়ে পাল্টা চিঠি লিখে না যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। চিঠিতে নাড্ডার কনভয়-নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। একেবারে শেষ বলা হয়েছে, যেহেতু রাজ্য সরকার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, তাই স্বশরীরে দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি থেকে মুখ্যসচিব-ডিজি-কে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
নাড্ডার কনভয়-নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেকথা কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রসচিবকে চিঠিতে জানিয়েছেন কল্যানবাবু। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি জে পি নড্ডাকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি–সহ সমস্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কনভয়ে হামলা সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে বিজেপি যেভাবে রাজনীতি করছে। আর সেই রাজনীতির অংশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কল্যাণের কটাক্ষ, অমিত শাহের চাকরের মতো কাজ করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অজয় ভাল্লা যাতে এরকম কাজ আর না করেন, সেই আবেদনও জানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাড্ডার কনভয়ে হামলা ইস্যুতে ফের সরগরম কেন্দ্র-রাজ্য তরজা। তুঙ্গে শাসক-বিরোধী রাজনীতি। ভোটের আগে সেই আঁচে নয়া মাত্রা যোগ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে তৃণমূল সাংসদের চিঠি দেওয়ার বিষয়টি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন