বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভয়াডুবির পর মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ কংগ্রেস রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্য কংগ্রেস প্রধান কমল নাথ দিল্লি পৌঁছেই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর দিল্লিতে পৌঁছেছেন কমলনাথ, মঙ্গলবার দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে দিল্লিতে খার্গের বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি ভেনুগোপালও যোগ দেন। এই সময়ে, পার্টি হাইকমান্ড কমল নাথকে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়োগের নির্দেশ দেয়। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ যে কোনও সময় কংগ্রেস রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন।
১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশে মোট ২৩০ টি বিধানসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার অন্যান্য তিনটি রাজ্য ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেরও ফল ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেসের ভরাডুবির পরই রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কমলনাথ বলেছিলেন যে আমরা মধ্যপ্রদেশের জণগনের ইচ্ছাকেই মাথা পেতে নিচ্ছি। আমরা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব। পাশাপাশি কমল নাথ বিজেপির বড় জয়ের জন্য দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে বিজেপি রাজ্যের জনগণের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করবে।
বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ১৬৩ টি আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। যেখানে কংগ্রেস ৬৬টি আসন জেতে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, কংগ্রেস ১১৪টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল, যেখানে বিজেপি ১০৯টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কমলনাথ। কিন্তু দলের অভ্যন্তরে বিরোধের কারণে ১৫ মাসের মধ্যে কমলনাথ সরকারের পতন ঘটে। সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি ভেনুগোপালও উপস্থিত ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পর মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চলেছেন কমলনাথ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবর অনুসারে, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস হাইকমান্ড এবং দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখা করার পরে কমল নাথকে নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর,আরও, আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং জেডি (ইউ) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার সহ ইন্ডিয়া জোটের অনেক নেতার বিরুদ্ধে কমল নাথের মন্তব্যকে কংগ্রেস হাইকমাণ্ড খুব একটা ভাল ভাবে নেয় নি।
মঙ্গলবার কমল নাথও দলীয় কর্মীদের সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করার দাওয়াই দিয়েছেন। দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য, কমল নাথ জরুরি অবস্থা-পরবর্তী ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের কথা স্মরণ করেন।