আগামী ৭ ডিসেম্বর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভামঞ্চে যাওয়ার আগে রাজ্যের কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি বা কেপিপি-র সভাপতি অতুল রায়।
ইতিমধ্যেই রাজ্যেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) চালুর দাবীতে সরব হয়েছিলেন কেপিপি নিখিল গোষ্ঠী। সম্প্রতি তাঁরা এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি শহরে মিছিল করে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনারকে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন। এবারে অতুলের পদত্যাগকে ঘিরে জোর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলো উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে।
গতকাল দুপুরে জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পদত্যাগের কথা ঘোষনা করেন অতুলবাবু। তিনি আরও জানান, চলতি মাসে তাঁর নেতৃত্বে দিল্লী যায় কেপিপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে ১ ও ২ ডিসেম্বর দফায় দফায় মিটিং হয়, এবং বিজেপি তাদের গত লোকসভা নির্বাচনের আগে কেপিপি-কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে নেয়।
আরও পড়ুন: মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নজির স্থাপন আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে শর্তসাপেক্ষ সমর্থন করে কেপিপি। শর্ত ছিল, বিজেপি যদি রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসে, তবে কামতাপুরি ভাষাকে অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করবে। নির্বাচনী ইশতেহারেও উল্লেখ ছিল এই ব্যাপারে। আগামী ৭ তারিখ অমিত শাহ সেই বহু প্রতীক্ষিত ঘোষণা করবেন।
তাই সেই সভায় যাবার আগে অতুলবাবুর পদত্যাগ। তবে তিনি বিজেপিতে যোগদান করছেন কিনা, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি তিনি। রাজ্য সরকার কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমি করে দেবার পরেও কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন? উত্তরে অতুলবাবু জানান, "একথা ঠিক যে আমরা এতদিন দিদির ছত্রছায়ায় ছিলাম। দিদি আমাদের অ্যাকাডেমি বানিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা তৃণমূলকে ভোটও দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আমার জনজাতির কাছে দায়বদ্ধ। আমাদের বহু সদস্য এই ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মারা গেছেন। এবার যখন আমাদের ভাষা অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে, আমি বিজেপির সেই মঞ্চে যাবো। তাই আমি নীতিগত ভাবে তার আগে রাজ্যের এই পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।"