দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবরে পড়েছে পদ্ম শিবির। সিএএ থেকে জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া থেকে শাহিনবাগ, মোদী-শাহের বিরুদ্ধে সোচ্চার কানহাইয়া কুমার বুধবার ফের আক্রমণের তির শানালেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিকে। সিপিআই প্রধান তথা জেএনইউ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কানহাইয়া কুমার বুধবার বিহারের ঔরঙ্গাবাদের একটি মিছিল থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, "আমরা সরকার নির্বাচন করেছি ধর্ম বাঁচানোর জন্য নয়। দেশে আরও স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল তৈরি করার জন্য।"
নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে মুসলিমদের নাগরিকত্ব নিয়ে দ্বন্ধের প্রেক্ষাপটে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গোটা দেশ। বুধবার 'জন গণ মন যাত্রার' দ্বাদশতম দিনের মঞ্চ থেকে কানহাইয়া কুমার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, "এনআরসিকে ঢাকতেই এই সিএএ নিয়ে আসা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায় এবং জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করার পর বিজেপির একটি নতুন ইস্যু দরকার ছিল। সিএএ এবং এনপিআরের মাধ্যমে নতুন মেরুকরণ এবং এনআরসি আনার একটি গোপন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।" উল্লেখ্য, এই মিছিলে পা মেলান কয়েক হাজার মানুষ।
প্রসঙ্গত, দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে কানহাইয়ার 'আজাদি' স্লোগানে মুখর হয়েছে দেশ। সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর মতো ইস্যুগুলিকেই হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখেন বিহারের বেগুসরাই থেকে উঠে আসা এই নেতা। বুধবার হাজার হাজার মানুষের সামনে সেই জোশ রেখেই কানহাইয়া বলে চলেন, "চাকরি পাওয়ার জন্য আমরা আপনাকে কাগজপত্র, আমাদের শিক্ষাগত ডিগ্রির কাগজগুলি দেখাব। তবে তা আমরা আপনাকে নাগরিকত্বের প্রমাণ করার জন্য দেখাব না। আমার এবং আমার ভাইয়ের শংসাপত্রগুলিতে আমার বাবার নামের বানান আলাদা। কীভাবে একজন গরীব মানুষ তাঁর মা-বাবার সমস্ত নথি দেখাতে সক্ষম হবেন? আমাদের যদি সরকারি (সরকারি মালিকানাধীন) বিএসএনএল, এলআইসি এবং এয়ার ইন্ডিয়া এবং সরকারী বিদ্যালয়ের প্রয়োজন না হয়, তবে কেন আমাদের একজন সরকারি প্রধানমন্ত্রী দরকার"?