বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর কলকাতায় আসছেন কানহাইয়া কুমার। সিপিআইয়ের নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে। এই সমাবেশ রাজ্য সিপিআইয়ের কাছে বেশ বড় ঘটনা। তার কারণ, গত তিন বছরের মধ্যে একক উদ্যোগে সমাবেশ আহ্বান করেনি তারা। দলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁদের নিজেদের ডাকা শেষ সমাবেশ শহর কলকাতায় হয়েছিল শহিদ মিনারে, ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর।
কানহাইয়া কুমার যে মোদী-বিরোধী মুখদের মধ্যে অন্যতম, সে কথা অকপটে বলছেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক, কিন্তু একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, বেশি লোক সমাগমের জন্য কানহাইয়া কুমারকে আনা হচ্ছে, তেমন নয়। তাঁর স্পষ্ট কথা, "সাংগঠনিক শক্তিই আসল শক্তি। কারও আকর্ষণে অতিরিক্ত লোক হয় কী না জানি না।"
আরও পড়ুন, তৃতীয় ফ্রন্টের লক্ষ্যে এবার চার্টার্ড বিমানে উড়বেন চন্দ্রশেখর রাও
এখন সিপিআইয়ের মূল শক্তি চারটি জেলায়। উত্তর ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর এবং বর্ধমান। সেখান থেকে লোকজন আসার কথা রয়েছে, তবে স্বপনবাবু জানিয়েছেন, "আর্থিক অসংগতির জন্য খুব বেশি বাস বা গাড়ির ব্যবস্থা আমরা করে উঠতে পারি না। যাও বা পারছি, তাতেও বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছে, পিকনিক ইত্যাদির জন্য বাস সব বুকিং হয়ে গেছে।" তবে এত রকম প্রতিকূলতার মধ্যেও অন্তত হাজার পঞ্চাশেক মানুষের সমাবেশ হবে বলেই মনে করছেন সিপিআই সম্পাদক।
এদিকে, জেএনইউয়ের প্রাক্তনী ফায়ারব্র্যান্ড নেতা কানহাইয়া কুমার যে সভায় উপস্থিত থাকবেন, সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যের অন্যতম বড় ছাত্র সংগঠন এসএফআই-কে।
এসএফআইয়ের রাজ্য় সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বললেন, "ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ কানহাইয়া কুমারের বক্তব্য শুনতে যান, তাহলে তো আমাদের কিছু বলার নেই। তবে যাঁরা আয়োজক, সেই সিপিআই বা তাদের সমর্থক ছাত্র সংগঠন এআইএসএফ-এর পক্ষ থেকে আমাদের সরকারিভাবে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।" তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, "কানহাইয়ার রাজনীতির সঙ্গে আমাদের রাজনীতির তো তেমন কোনও ফারাক নেই, সামান্য কিছু মতপার্থক্য রয়েছে হয়ত। কিন্তু সেটা এই সময়ে খুব বড় কোনও বাধা নয়। কানহাইয়া কুমার কলকাতার সভায় কী বলেন, তা শোনার জন্য সকলেই মুখিয়ে রয়েছেন।" অন্য কর্মসূচি থাকার জন্য সৃজন নিজে অবশ্য সিপিআইয়ের সভায় হাজির থাকতে পারবেন না।
শুধু কানহাইয়া কুমারই নয়, বুধবারের সিপিআইয়ের সভায় উপস্থিত থাকতে চলেছেন গুজরাতের তরুণ নেতা জিগনেশ মেভানিও। মোদী-বিরোধী দলিত মুখ হিসেবে তাঁকে রাখা হচ্ছে বলে দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে নিজেদের রাজনীতি এবং নিজেদের সংগঠনের উপর আস্থাশীল সিপিআই কানহাইয়াদের "অতিরিক্ত বক্তা" বলেই মনে করছে।