Advertisment

বুলবুলির পিঠে চেপে জেল থেকে বেরোতেন সাভারকর, কর্ণাটকের স্কুল পাঠ্যবইয়ে আজব কাহিনি

হিন্দুত্ববাদকে ছড়িয়ে দিতে তাদের নেতা সাভাকরকে আগের 'বীর' তকমা দিয়েছে সংঘ পরিবার। এবার তাঁকে কার্যত অতিমানবের পর্যায়ে তুলে ধরতে নতুন গল্প বাজারে ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে সংঘ পরিবারের বিরুদ্ধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
savarkar

বুলবুল পাখির পিঠে চেপে জেল থেকে পালিয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকর। কোনও কমিকসের গল্প নয়। এমন আজব কাহিনি ছাপা হয়েছে কর্ণাটক সরকারের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে। সাভারকর বেশ কয়েকবছর আন্দামানের সেলুলার জেলে বন্দি ছিলেন। তাঁর মত আরও বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীও বন্দি ছিলেন আন্দামানের ঐতিহাসিক সেলুলার জেলে। ঐতিহাসিক নথি বলছে, বন্দিদের তালিকায় বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংখ্যাই বেশি।

Advertisment

হিন্দুত্ববাদকে ছড়িয়ে দিতে তাদের নেতা সাভাকরকে আগের 'বীর' তকমা দিয়েছে সংঘ পরিবার। এবার তাঁকে কার্যত অতিমানবের পর্যায়ে তুলে ধরতে এমনই নতুন গল্প বাজারে ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে সংঘ পরিবারের বিরুদ্ধে। আর এই গল্প ছড়ানোর ব্যাপারে হিন্দুত্ববাদীদের হয়ে প্রধান ভূমিকা নিতে দেখা গেল বিজেপি পরিচালিত কর্ণাটক সরকারকে। দক্ষিণের একমাত্র রাজ্য হিসেবে কর্ণাটক বিজেপিশাসিত। এই রাজ্যকে কেন্দ্র করেই সংঘ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে গোটা দক্ষিণ ভারতে তাদের সংগঠন বিস্তার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। তার মধ্যেই কর্ণাটকের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে দেখা গেল সাভারকরকে নিয়ে অলীক কাহিনি ঢুকে পড়েছে।

এই ব্যাপারে কর্ণাটক টেক্সট বুক সোসাইটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমপি মাদেগৌড়া বলেন, 'এটা আসলে কাব্যিক কল্পনা। লেখক আসলে সাভারকরের দেশাত্মবোধকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন।' যে অধ্যায়ে সাভারকরের এই গল্প আছে, তার নাম কালাভান্নু গেদ্দাভারু। সাভারকরকে নিয়ে এই কাহিনি লিখেছেন কেটি গাত্তি। তিনি লিখেছেন, 'যে ঘরে সাভারকরকে রাখা হয়েছিল, সেখানে ছোট ছিদ্রও ছিল না। কিন্তু, কোথা থেকে যেন একটা বুলবুল পাখি সেখানে ঢুকে পড়ত। তার পিঠে চেপে সাভারকর প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করতেন।'

আরও পড়ুন- ফের তীব্র হিজাব বিতর্ক, উত্তাপ এবার সুপ্রিম কোর্টে, হলফনামা দেবে কর্ণাটক সরকার

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্য সাভারকরকে নিয়ে বরাবরই কটাক্ষ করে এসেছে। তাদের অভিযোগ, নথি অনুযায়ী সাভারকর তাঁর মুক্তির জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। সেই আবেদন খারিজের পর কার্যত মুচলেকা দিয়েছিলেন নিজের মুক্তির জন্য। কাতর অনুনয়, বিনয় করেছিলেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে। মুক্তির পর মুচলেকা অনুযায়ী, সাভারকর আর কোনওদিন স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগও দেননি। বরং, স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করেছিলেন। সেই সাভারকরকে নিয়েই সংঘ পরিবার যেভাবে শিশুমনকে প্রভাবিত করতে চাইছে, তা রীতিমতো বেদনাদায়ক বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।

Read full story in English

bjp karnataka Jail
Advertisment