তন্ময় ভট্টাচার্যের পর এবার কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বঙ্গ ভোটে বিপর্যয়ের পর আলিমুদ্দিনের প্রতি বেসুরোদের তালিকা ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সিপিএম-র জোট রাজনীতি এবং ‘ভাইজান’-এর সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্তকে ঘুরিয়ে বিঁধেছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। এবার খানিকটা তৃণমূলের দিকে ঝোল টেনে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বকে বড় অস্বস্তির মধ্যে ফেললেন বাম জমানার একদা দাপুটে মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি কোনওরকম রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘বামেরা পারেনি। কিন্তু বিজেপিকে রুখেছে তৃণমূল। এই ভরাডুবির বস্তুনিষ্ঠ আত্মসমালোচনা চাই।‘ আলিমুদ্দিনের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, ‘জাতীয় রাজনীতিতে দুর্নীতিগ্রস্ত আরজেডির সঙ্গে জোট হলে। এখানে নয় কেন? বাংলায় কেন কৌশলগত ভুল?’ স্পষ্টতই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন এই প্রবীণ বাম নেতা।
বঙ্গ ভোটের রায়কে কুর্নিশ জানিয়ে প্রাক্তন এই মন্ত্রী বলেছেন, ‘ধর্মীয় ফ্যাসিবাদকে রুখতে পারবে তৃণমূল, বামেরা পারবে না। এটা মানুষ বুঝে গিয়েছে।‘ তাঁর মন্তব্য, ‘এই ভোট বিপর্যয়ের দায় নেতৃত্বের। আমিও তাঁর অংশীদার। ধর্মীয় মেরুকরণের বিরুদ্ধে যে লড়াই, আন্দোলন, সচেতনতা দরকার সেটা করতে আমাদের সংগঠন ব্যর্থ।‘ এমনকি, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট নিয়ে রাজ্য কমিটিতে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান রায়দিঘির এই বাম সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী।
এদিকে, তন্ময় ভট্টাচার্যের মন্তব্যের পরেই বিবৃতি জারি করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম। বুধবার দলীয় মুখপত্রে জেলা সিপিএমের সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীর একটি বিবৃতি প্রকাশ হয়। সেই বিবৃতির একটি অংশে বলা হয়, ‘‘তন্ময় ভট্টাচার্য টকশো’য় যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। পার্টি পরিচালনা বা নেতৃত্বের বিষয়ে যা বলেছেন সে ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
অপরদিকে, তাঁকে শোকজ করা হয়নি বলেই দাবি করেছেন তন্ময়। তিনি বলেন, ‘‘কমিউনিস্ট পার্টিতে কাউকে শোকজ করা হলে তাঁকেই চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে আমাকে দল থেকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি।“