/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/08/kapil-sibal-1.jpg)
কপিল সিবাল।
সোমবার কংগ্রেসে ওয়ার্কিং কমিটির সাত ঘন্টার বৈঠকে ঝড় ওঠে। নেতৃত্ব বদল ও সংগঠে সংস্কারের প্রশ্নে সোনিয়া গান্ধীকে পত্র প্রেরকদের 'উদ্দেশ্যে' নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী। চিঠিতে সাক্ষরকারী দলের ২৩ নেতার সঙ্গে বিজেপি যোগসাজশের অভিযোগ আনেন রাহুল। যাকে কেন্দ্র করে কপিল সিবাল, গুলাম নবী আজাদরা ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তীব্র বাদানুবাদ চলে।
সন্ধ্যায় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে জানানো হয় যে, আরও ছয় মাসের জন্য কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকলেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু মুখে বিরোধ, ভুল বোঝাবুঝি মিটে যাওয়ার কথা বলা হলেও সমস্যার কি সমাধান আদৌ হল? সোমবার রাতে আজাদের বাড়িতে ভৈঠক করেন সোনিয়া পত্র প্রেরক নেতার বেশ কয়েকজন। এতেই জল্পনা চওড়া হয়। যা উস্কে দিয়েছে মঙ্গলবার সকালে কপিল সিবালের টুইট। সিবাল লিখেছেন, 'এটা কোনও বিশেষ পদ সম্পর্কে নয়, এটা গোটা দেশের বিষয় যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'
It’s not about a post
It’s about my country which matters most— Kapil Sibal (@KapilSibal) August 25, 2020
দলীয় সংগঠনে খোল-নলচে বদলের দাবি উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরেই। পাঁচ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, একাধিক কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির সদস্য, বর্তমান সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একাংশ সহ মোট ২৩ জন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লিখে সংগঠনে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সংস্কার ও যোগ্য-স্থায়ী নেতৃত্বের দাবি জানান।
এই চিঠি দেওয়ার সময় নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। রাহুলের দাবি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে যেভাবে দল সংকটে পড়েছিল, এবং এই একই সময় সনিয়ার যেভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়- এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব বদলের চিঠি দেওয়া উচিত হয়নি। শুধু তাই নয়, যেসব কংগ্রেস নেতারা এই চিঠি লিখেছেন, তাঁরা বিজেপিকে মদত করছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল।
রাহুলের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সরগরম হয়ে ওঠে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। চড়া সুরে কপিল সিবল বলেন, ‘বিগত ৩০ বছরে আমি একবারও বিজেপির পক্ষে মুখ খুলিনি। রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার বাঁচানোর পাশাপাশি মণিপুরেও দলের হয়ে লড়ছি। সেখানে বিজেপি সরকারের পতনের জন্যে চেষ্টা চালাচ্ছি। আর আপনি বলছেন আমরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছি?’ পরে অবশ্য় সিব্বল বলেন, রাহুলের সঙ্গে তাঁর ব্য়ক্তিগত কথা হয়েছে এবং রাহুল যে একথা বলেননি সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। এরপরই টুইট ডিলিট করেন সিব্বল।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির আক্রমণের প্রতিবাদ করেছেন সোনিয়াকে চিঠির লেখকদের অন্যতম গুলাম নবি আজাদ। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ প্রমাণ হলে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি বলে জানিয়েছেন গুলাম নবি আজাদ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন