কংগ্রেস শুক্রবার রাম মন্দির উদ্বোধনকে "রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে" পরিণত করার জন্য বিজেপিকে নিশানা করেছে। এদিকে এর মাঝেই, দলের সিনিয়র নেতা করণ সিং বলেছেন যে রাম জন্মভূমি মামলায় ২০১৯ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যেতে কারুর "কোন দ্বিধা থাকা উচিত নয়"। পাশাপাশি তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যদি কেউ রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি যেন অবশ্যই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এক বিবৃতিতে, ৯২ বছর বয়সী সিং, যিনি জম্মু ও কাশ্মীরের শেষ ডোগরা শাসক মহারাজা হরি সিং-এর ছেলে, বলেছেন যে তিনি "ঐতিহাসিক প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে" "আমন্ত্রণ" পেয়েছেন কিন্তু যোগ দিতে পারবেন না। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন "আমি একজন রঘুবংশী হিসাবে, এবং নির্মাণের জন্য ১১ লাখ টাকার একটি সামান্য ব্যক্তিগত অনুদান দিয়েছি, এতে উপস্থিত থাকতে পারলে খুবই ভাল লাগত। কিন্তু আমি দুঃখিত, আমার বয়স ৯৩-এর দোড়গোড়ায়, আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমন্ত্রিত হলে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কারুর কোন দ্বিধা থাকা উচিত নয়।” প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বলেছেন যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের রঘুনাথ মন্দিরে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান উদযাপন হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা কাউকে, কোনো ধর্মের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত আঘাত করতে চাই না। এটা আমাদের বিষয় নয়। আমাদের একমাত্র ইস্যু হল (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদীজি বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, সীমান্ত সমস্যা এবং চিনা (অনুপ্রবেশ) নিয়ে জনগণের জন্য কী করেছেন এবং মোদীর বিদেশ নীতি কী সেটাই আমাদের আলোচনায় ফোকাস করা উচিৎ"।
কংগ্রেসের অভিযোগ, “এই পুরো অনুষ্ঠানে ধর্ম, নীতি, বিশ্বাস কোথাও দেখা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র যা দেখা যাচ্ছে তা হল রাজনীতি। পাশাপাশি কংগ্রেস বলেছে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই রাম মন্দির উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে"।
অন্যদিকে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া শুক্রবার বলেছেন যে ২২ জানুয়ারির পরে যখনই তিনি সময় পাবেন, তিনি ভগবান রামের পূজা করতে অযোধ্যায় যাবেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ওই দিন রাজ্যজুড়ে রাম মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করবেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।