Advertisment

কর্নাটকের ঘটনায় অভিজ্ঞ কংগ্রেস-আরজেডি, গোয়া-বিহারে রাজ্যপালদের উপর চাপের রণকৌশল

কর্নাটকের ঘটনা থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়। শুক্রবার গোয়া ও বিহারে রাজ্যপালদের সঙ্গে দেখা করে বর্তমান সরকার ফেলে দেওয়ার দাবি তুলবে কংগ্রেস ও আরজেডি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Manohar Parrikar sworn-in as Goa CM

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রাহুল গান্ধীর দাবি ঘিরেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত।

কর্নাটকের পরিস্থিতি দেখে নতুন চাল চালতে চলেছে কংগ্রেস। রাত পোহালেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎ করা হবে গোয়ার রাজ্যপালের কাছে। তাঁরাই যে সে রাজ্যের একক বৃহত্তম দল, সে কথা জানিয়ে সেখানে সরকার গড়ার দাবি জানাতে চলেছে দেশের প্রাচীন বৃহত্তম দলটি।

Advertisment

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমের কাছে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করছেন গোয়া কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। কর্নাটকের ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে তাঁদের প্রশ্ন, গোয়া এবং কর্নাটকের মাপকাঠি কীভাবে আলাদা হতে পারে! তাঁদের দাবি, সেক্ষেত্রে গোয়াতে সরকার গঠন করতে দিতে হবে কংগ্রেসকে। শুক্রবার সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এই যুক্তিই সাজাবেন বলে ভেবে রেখেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

কংগ্রেসের ১৬ জন বিধায়ক রয়েছে গোয়ায়। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বাইরে। তবে তাতে পিছ পা হচ্ছে না দল। যাঁদেরকে পাচ্ছেন, তাঁদের নিয়েই শুক্রবার সকাল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা বাবু কাভেলকর পৌঁছোবেন রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহার কাছে।

২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা ভোটে মোট ৪০টির মধ্যে ১৭টি আসনে জিতেছিল। অঙ্কের হিসেবে তারাই ছিল একক বৃহত্তম দল। ফল প্রকাশের পরে কংগ্রেসের একজন বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। ৪০টির মধ্যে ১৩টি আসনে জেতে বিজেপি।

কর্নাটকে ২২২টির মধ্যে ১০৪টি আসনে জিতে একক বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। তবে ৫০ শতাংশ আসন বরাতে জোটেনি তাদের। অন্যদিকে ভোটপরবর্তী জোট গঠন করে কংগ্রেস ও জেডিএস, তাঁদের প্রয়োজনীয় সংখ্যা রয়েছে বলে দাবি করলেও রাজ্যের রাজ্যপাল বিজেপির ইয়েদুরাপ্পাকে ডেকে বৃহস্পতিবার সকালে শপথ গ্রহণ করিয়েছেন।

শুধু গোয়া নয়, একই পদ্ধতি নিয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো জেলবন্দি লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদবও। নীতীশ কুমার সরকারকে ফেলে দিয়ে তাঁদের সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাতে হবে রাজ্যপালকে, দাবি তুলেছেন তিনি।

এক সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী যাদব বলেছেন, কর্নাটকে গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে শুক্রবার দিনভর ধরনায় বসবেন তাঁরা।  আমরা রাজ্যের রাজ্যপালের কাছে দাবি জানাব, ‘‘কর্নাটকের মতই বিহারেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে সরকার গঠন করতে ডাকা হোক। এখানে আরজেডি-ই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।’’

শুক্রবার বেলা  একটার সময়ে রাজ্যপাল সত্য পাল সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা।

২০১৫ সালে বিহারে বিধানসভা ভোটে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ৮০টি আসন পেয়েছিল তারা। সংযুক্ত জনতা দল পেয়েছিল ৭১টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছিল ৫৩টি আসন। মহাজোট ছেড়ে নীতীশ কুমার বেরিয়ে যাওয়ার পরে বিজেপি-র সমর্থনে সরকার গঠন করেন তিনি।

karnataka elections national news
Advertisment