২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকে একটি বড় বিতর্ক শুরু হয়েছে। ৩১ বছরের পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে শ্রীকান্ত পূজারিকে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য সরকার এ নিয়ে তুচ্ছ রাজনীতি করছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এতে কোনো রাজনীতির যোগ নেই এবং রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই যে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে তা নিতান্তই কাকতালীয়। শ্রীকান্ত অবৈধ মদ বিক্রি, জুয়াসহ ১৬টি অসামাজিক কাজে জড়িত ছিল। যদি এই ধরনের লোকদের গ্রেফতার না করে তাদের সমাজে অবাধে বিচরণ করতে দেওয়া হয় তবে ভগবান রামও তা ক্ষমা করবেন না।
কর্ণাটকের বিরোধী দল বিজেপি সম্প্রতি ৩১ বছরের পুরনো দাঙ্গার ঘটনায় "কর সেবক"-এর গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছে বিজেপি। অযোধ্যা ইস্যুতে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে দায়ের করা দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগের এক বিচারাধীন মামলায় ৬০ বছর বয়সী শ্রীকান্ত পূজারিকে গ্রেফতারি নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি।
বিজেপির তরফে রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলটের কাছে তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে। যদিও হুব্বালি ধারওয়াড় পুলিশ কমিশনার এটিকে একটি রুটিন আইনি পদ্ধতি হিসাবে অভিহিত করেছেন। যদিও বিজেপির অভিযোগ কংগ্রেস অরকার বিজেপি কর্মীদের হয়রানি এবং হিন্দু কর্মী ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে,”।
পুলিশ কমিশনার রেণুকা সুকুমার বলেছেন, “আমাদের আইন নির্ধারিত যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করেছি।” উল্লেখ্য শ্রীকান্ত পূজারিসহ ৩৬ জনকে বিচারাধীন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। হিন্দু কর্মীকে গ্রেফতার নিয়ে কর্ণাটকে বিক্ষোভের মধ্যে, বিজেপি বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে "হিন্দু বিরোধী" বলে অভিহিত করেছে। এই ইস্যুতে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সিটি রবিও শেয়ার করে অভিযোগ করেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী রাম মন্দির আন্দোলনে জড়িত হিন্দুদের টার্গেট করছেন। তিনি লিখেছেন, "আশ্চর্যের বিষয় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া রাম মন্দির আন্দোলনে জড়িত হিন্দু কর সেবকদের টার্গেট করছেন। কেন হিন্দুদের বিরুদ্ধে তাঁর এত ঘৃণা?"