কর্ণাটকে কে কোথায় দাঁড়িয়ে তা নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। আস্থা ভোট কবে, বাড়ছে তা নিয়েও প্রশ্ন। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের ইস্তফা নিয়ে আগামী মঙ্গলবারের আগে কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন না রাজ্যসভার স্পিকারও। কর্নাটকের রাজনৈতিক সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পা। প্রথমে আস্থা ভোটের বিপক্ষে থাকলেও শনিবার প্রবীন বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, সোমবারই তাঁরা আস্থা ভোটে অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে নতুন সরকার গঠন নিয়ে মতবিরোধ শুরু হয়েছে বিজেপির মধ্যেই। বিজেপির একাংশ এইরকম টালমাটাল পরিস্থিতিতে সরকার গঠনে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না।
শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা বলেন, আমাদের আস্থা ভোট নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। স্পিকার চাইলে সোমবারই আস্থা ভোট হতে পারে। তিনি জানান, ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-জেডিএস জোট ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্বে বদল; বারো বছর পর সঙ্ঘে ফেরানো হল রামলালকে
প্রসঙ্গত, এর আগে সম্প্রতি ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছিলেন, আস্থা ভোট সম্পূর্ণই অর্থহীন। কারণ ইতিমধ্যেই ক্ষমতাসীন জোট বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।.
অন্যদিকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট আস্থা ভোটে জেতার আশা রাখছে। রাজ্যস্তরের এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, "বিরোধীদের অনেকেই আস্থা ভোটে অংশ নেবেন না। আর জোটের বিদ্রোহী বিধায়ক, যারা মুম্বই যাননি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বোঝানোর চেষ্টা চলছে"।
বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না স্পিকার
শনিবার সকালে আরও ৫ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্পিকার রমেশ কুমার ইস্তফা গ্রহন করছেন না। বরং ইস্তফা দিলে বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
২২৪ সদস্যের কর্নাটক বিধানসভায় প্রবল সংকটে রয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। লোকসভা নির্বাচনের পর ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক এবং ৩ জেডিএস বিধায়ক পদত্যাগ করায় আপাতত সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে জোট। যদি বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা গৃহীত হয়, তাহলে জোটের পক্ষে থাকবে ১০৫ জন বিধায়কের সমর্থন, যা বিজেপি-র ১০৫ জনের চেয়ে কম। সেই পরিস্থিতিতে আস্থা ভোটে গেরুয়া শিবির জয়ী হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Read the full story in English