কংগ্রেস-জেডিএস জোট 'অপবিত্র মৈত্রী' নয়। কর্ণাটকের উপনির্বাচনে ৫টি আসনের মধ্যে চারটিতে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এই ভাষাতেই বিজেপিকে বিঁধেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল (সেকুলার)-এর সভাপতি এইচ.ডি. কুমারস্বামী। মঙ্গলবার উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হতে দেখা যায়, বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে কেবল একটি আসন। এদিনের ফলাফলের পর কর্ণাটক বিধানসভার ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের পক্ষে গেল ১২০টি এবং বিজেপির দখলে রইল ১০৪টি আসন। অতীতে, নির্বাচন পরবর্তী কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে 'অপবিত্র মৈত্রী' বলে সমালোচনা করেছিল গেরুয়া শিবির।
সম্মান রক্ষার উপনির্বাচনে এমন আশাতীত ফল করে ভীষণ খুশি কুমারস্বামী। তিনি এদিন কংগ্রেস ও জেডিএসকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। আর এরপরই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের ২৮টি আসনই দখল করবেন বলে হুঙ্কার ছাড়েন দেবগৌড়া-পুত্র। তিনি বলেন, "শুধু আজ জিতেছি বলে অহেতুক একথা বলছি না। আসলে, মানুষ আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। তবে এই জয় আমাদের উদ্ধত করবে না"। বিজেপি-কে এক হাত নিয়ে কুমারস্বামী আরও জানান, বেশ কিছু কংগ্রেস ও জেডিএস প্রার্থীদের কিনতে বিজেপি ২৫-৩০ কোটি টাকা বিলিয়েছিল। কিন্তু, এসব কৌশল কাজে লাগেনি এবং ভবিষ্যতে লাগবেও না।
রামনগর কেন্দ্র থেকে কুমারস্বামীর স্ত্রী অনিতা ১ লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। তিনি হারিয়েছেন বিজেপির এল. চন্দ্রশেখরকে। উল্লেখ্য, এই চন্দ্রশেখর নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিলেও, সরকারিভাবে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে তাঁর নামই রয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি.এস. ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বি.ওয়াই. রাঘবেন্দ্র শিবমজ্ঞ লোকসভা আসন থেকে জিতেছেন।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের তিনটি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার উপনির্বাচন হয়েছিল। কমবেশি ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
Read the full story in English