Advertisment

বিতর্ক পিছু ছাড়ে না, তবুও সোজাসাপটা এই প্রাক্তন মন্ত্রী

'হিন্দু' শব্দ নিয়ে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Satish_Jarkiholi

চেনেন এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে?

কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রদেশের কার্যনির্বাহী সভাপতি সতীশ জারকিহোলি সোমবার এক নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন। বরাবরই তিনি নিজের মনের কথা বলতে অভ্যস্ত। বছর ৬০-এর জারকিহোলি বলেন, 'হিন্দু' শব্দের উৎপত্তি ফার্সি ভাষায়। বিজেপি যে সমর্থন করবে না, জানাই ছিল। কংগ্রেসও জারকিহোলির এই মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে।

Advertisment

উত্তর কর্ণাটকের বেলাগাভি জেলার সুগার ব্যারন, সতীশ জারকিহোলি, তাঁর পাঁচ জারকিহোলি ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। বিভিন্ন সময় দল বদলেছেন। কংগ্রেসকে নিয়ে চারটি দল ঘোরা হয়ে গিয়েছে অভিজ্ঞ এই নেতার। তপশিলি উপজাতি বাল্মীকি নায়ক সম্প্রদায়ের এই ব্যবসায়ী নেতা বরাবরই যুক্তিবাদী সঙ্গে স্পষ্টবক্তা। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর, সেই সময় তিনি কংগ্রেস সরকারের আবগারি মন্ত্রী। সরকারের বয়স একবছরও পেরোয়নি। কবরস্থানে ভূত আছে। এই অন্ধবিশ্বাস দূর করতে জারকিহোলি বেলাগাভি শহরের এক কবরস্থানে রাত কাটিয়েছিলেন। সেখানে বসেই খাবার খেয়েছিলেন।

জারকিহোলি ও তাঁর সহযোগীরা সেই সময়ে সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে কুসংস্কার প্রতিরোধী বিল কর্ণাটকে চালু করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাঁরা কবরস্থানে থাকার জন্য সংবিধানের রচয়িতা বিআর আম্বেদকরের মৃত্যুবার্ষিকীকে বেছে নিয়েছিলেন। মৃদুভাষী এই কংগ্রেস নেতা সেই সময় বলেছিলেন, 'আমি কবরস্থান এবং তার সঙ্গে যুক্ত ভয়কে ঘিরে থাকা নানা গল্পের সমাপ্তি ঘটাতে চাই। দেখাতে চাই যে কবরস্থান আসলে এক শান্তিপূর্ণ জায়গা।'

কুসংস্কার বিরোধী বিল নিয়ে এগোতে সিদ্দারামাইয়া সরকার ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৫ সালে জারকিহোলি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক সখ্যতা বহুদিনের। তারপরও তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কংগ্রেস ছাড়ার আগে সিদ্দারামাইয়া এবং জারকিহোলি, দু'জনেই দেবেগৌড়ার জেডি(এস) বা জনতা দল (সেকুলার)-এ ছিলেন।

আরও পড়ুন- ‘রক্তাভ চাঁদ’, যা দেখতে এবার ২০২৫ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে, কিন্তু কেন?

ইয়ামাকানামারাডির বিধায়ক জারকিহোলি ২০২১ সালে চিনি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসা থেকে ১৪৮ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বলে দাবি করেছিলেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনিই সিদ্দারামাইয়ার নির্বাচনী খরচ বহন করেছিলেন বলেই বিভিন্ন মহলের দাবি। সেই নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছিল। আর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সিদ্দরামাইয়া।

Read full story in English

Congress Leader karnataka CONGRESS
Advertisment