একেবারে যেন কোনো উত্তেজক ছবির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য। বিধান সভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ নিয়ে গত ক’দিন ধরে একের পর এক সাসপেন্সের সাক্ষী থেকেছেন কর্নাটকবাসী। শনিবার আস্থা ভোটে শেষ পর্যন্ত কে বাজিমাত করে কর্নাটকের ক্ষমতা দখল করবে, সেদিকে নজর ছিল গোটা দেশের।
কিন্তু অন্তিম চমক স্বরূপ আস্থা ভোটের আগেই ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দিলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। যার জেরে দক্ষিণের এই রাজ্যে গত আড়াই দিনের বিজেপি সরকারের যবনিকা পতন ঘটল, দেশে সবথেকে স্বল্প মেয়াদের সরকার হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়ার পর। স্বভাবতই কর্নাটকের কুর্সিতে এবার দাবি জন্মাল কংগ্রেস-জনতা দল (এস) জোটের। হিসেব মতো দক্ষিণের এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর গদি পাচ্ছেন জেডি (এস) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। সরকার গড়তে রাজ্যপালের ডাকের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে এদিনই জানিয়েছেন কর্নাটকের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী। তবে সরকার গড়তে নতুন করে রাজ্যপালের কাছে দাবি জানাতে পারে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট।
আরও পড়ুন, Karnataka Assembly: আস্থা ভোটের আগে ইস্তফা দিলেন ইয়েদুরাপ্পা
আস্থা ভোটের আগে ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ইয়েদুরাপ্পা। ১০৪টি আসনের বদলে ১১৩টি আসন পেলে রাজ্যকে "নন্দনকানন" বানাতে পারতেন, এমনটাই বলেন বিজেপি নেতা। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন যে কংগ্রেস-জেডি (এস)-কে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন, কর্নাটকের রাজ্যপালের সমালোচনায় মুখর হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে, কর্নাটকের রাজনীতিতে এদিনের নাটকীয় মোড় সম্পর্কে বলতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন যে, বিরোধীরা একজোট হয়ে বিজেপিকে হারিয়েছে
জেডি (এস) নেতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, কুমারস্বামী, এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকে ট্যুইট করে অভিনন্দন জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।