বিজেপি তাদের ঘর ভাঙছে, এমন আশঙ্কা থেকেই দলীয় বিধায়কদের আগলে আগলে রাখছেন কর্নাটক কংগ্রেস নেতৃত্ব। এমনকি দলের পরিষদীয় বৈঠকে ৪ বিধায়কের অনুপস্থিতি এই আশঙ্কায় অক্সিজেন জুগিয়েছে। তারপরই বৈঠকে হাজির হওয়া ৭৫ জন বিধায়ককে রিসর্টে রেখে তাঁদের উপর নজর রাখছেন সিদ্দারামাইয়ারা। এহেন প্রেক্ষাপটে এবার মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পা। জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারকে আশ্বস্ত করে ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস, জেডিএসের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ সরকারের স্থায়িত্ব নষ্ট করবে না বিজেপি।’’
এদিন সংবাদসংস্থা এএনআইকে এ প্রসঙ্গে ইয়েদুরাপ্পা আরও বলেছেন, ‘‘দিল্লি থেকে আমাদের বিধায়করা বেঙ্গালুরুতে ফিরছেন। কোনওভাবেই আমরা সরকারের স্থায়িত্ব বিনষ্ট করব না। কংগ্রেস ও জেডিএসের চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’
আরও পড়ুন, ‘অপারেশন লোটাস’! পরিষদীয় বৈঠকে গরহাজির ৪ কং বিধায়ক, রিসর্টবন্দি ৭৫
উল্লেখ্য, কংগ্রেস বিধায়কদের ‘টোপ’ দিয়ে ঘোড়া কেনাবেচার ছক কষছে বিজেপি, এমন অভিযোগ তুলেই সরব হয়েছেন সিদ্দারামাইয়ারা। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে ৪ বিধায়কের অনুপস্থিতি ঘোড়া কেনাবেচার জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে। কোনও কারণ ছাড়াই বৈঠকে হাজির হননি দুই বিধায়ক। জরুরি কাজে ব্যস্ত বলে ‘অজুহাত’ দেখিয়ে অন্য দুই বিধায়কও গরহাজির ছিলেন সেদিনের বৈঠকে। ৭৯ জন বিধায়কের মধ্যে বৈঠকে হাজির হওয়া ৭৫ জন বিধায়কদের আগলে রাখতে উঠেপড়ে লেগেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ওই ৭৫ জন বিধায়ককে বেঙ্গালুরুর বাইরে নিয়ে গিয়ে একটি রিসর্টে রাখা হয়েছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলে সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘‘আমাদের বিধায়করা সকলেই সঙ্গে আছেন। আমাদের দল অটুট রয়েছে। বিজেপি আমাদের বিধায়কদের কোটি টাকার টোপ দিচ্ছে। শিবালি, হেব্বার ও অন্য বিধায়কদের এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কাউকে আবার মন্ত্রীত্বেরও টোপ দেওয়া হচ্ছে।’’ যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়াবাহিনী।
Read the full story in English