Advertisment

বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না স্পিকার: সুপ্রিম কোর্ট

একঝাঁক বিধায়ক পদত্যাগ করায় কর্নাটকে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কিমারস্বামী ছাড়া মন্ত্রীসভার বাকি সকলেই পদত্যাগ করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Congress-JDS crisis

কংগ্রেস-জেডিএসের পদত্যাগী বিধায়কেরা

কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সংকট কাটাতে স্পিকারের সঙ্গে বিদ্রোহী বিধায়কদের দেখা করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিধায়কদের অভিযোগ ছিল, তাদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে না। সেই নিয়ে শুক্রবার দিনভর চলেছে সওয়াল-জবাব। মঙ্গলবার কর্ণাটক কাণ্ডের শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে আগামী ১৬ জুলাইয়ের আগে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে স্পিকারকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে না।

Advertisment

সমস্ত বিধায়কের ইস্তফাপত্র এখনও খতিয়ে দেখে উঠতে না পারার জন্য শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত কর্ণাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ কে রমেশ কুমারকে ভর্ৎসনা করে। জানিয়ে দেওয়া হয়, ইস্তফা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী মঙ্গলবার হবে শুনানি।

গত সপ্তাহ থেকে কর্ণাটকে কংগ্রেস এবং জনতা দলের একের পর এক বিধায়কের ইস্তফার হিড়িক পড়ে যায়। এদের মধ্যে দু'জন নির্দল প্রার্থীও ছিলেন। বিদ্রোহী বিধায়কদের গত শনিবার চার্টার্ড বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইতে।

“আমি মরব, কিন্তু ওর গোটা পরিবারকে শেষ করে দিয়ে যাব”

একঝাঁক বিধায়ক পদত্যাগ করায় কর্নাটকে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কিমারস্বামী ছাড়া মন্ত্রীসভার বাকি সকলেই পদত্যাগ করেছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ক্যাবিনেটে জায়গা দিয়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা রুখতেই এমন পদক্ষেপ। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। ইতিমধ্যেই ১০ জন বিদ্রোহী বিধায়ক শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্পিকার রমেশ কুমার ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করছেন না। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রায় দিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যা ৬টায় পদত্যাগী বিধায়কেরা স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এদিনের মধ্যে ওই ইস্তফাপত্রগুলি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে স্পিকারকে।

Advertisment