সরকার গঠনের জন্য কংগ্রেস প্রস্তাবিত জোটের আহবানে জনতা দল সেকুলার সাড়া দেবার পর কর্নাটকের সরকার গঠন প্রক্রিয়া ক্রমশই রোমাঞ্চকর হয়ে উঠছে। সরকার গড়তে এই মূহূর্তে বিজেপির প্রয়োজন ১১২টি আসন। গোয়াতে সরকার গঠনে অসমর্থ কংগ্রেস ইতিমধ্যেই জেডি(এস)কে নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়ার এবং এইচডি কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করবার কথা ঘোষণা করেছেন।
কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল ভজুভাই বালা'র সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেখা করে সরকার গঠনের আর্জি জানিয়েছে। বিজেপি এই মূহূর্তে সরকার গঠনের উপায় খুঁজতে ব্যস্ত। সংবিধান অনুযায়ী, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে ডাক পেলেও তাঁরা সরকার গঠনে কতখানি সমর্থ হবেন সেবিষয়েও এই মূহূর্তে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
২০০৫ সালে রামেশ্বর প্রসাদ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ দ্বারা গঠিত সরকারিয়া কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই মূহূর্তে রাজ্যপাল ভজুভাই বালার হাতে এক্ষেত্রে মোট চারটি উপায় আছে। রাজ্যপাল এই চারটির মধ্যে যেকোন একটি উপায়কে সিদ্ধান্ত হিসাবে বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন, Karnataka Election Results 2018 Live Updates: বিজেপি না কংগ্রেস-জেডি(এস), কার মাথায় উঠবে মুকুট!
১) ভোট হবার আগে গঠিত কোন জোটকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাতে পারেন রাজ্যপাল।
২) রাজ্যপাল একক বৃহত্তম দলকে নির্দল সহ অন্যান্য দলের বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণও করতে পারেন।
৩) ভোটের পর গঠিত কোনও দলীয় জোটকেও সরকার গঠনের জন্য ডাকতে পারেন রাজ্যপাল।
৪) বাইরে থেকে সমর্থনের আশ্বাসে গঠিত হয়েছে এরকম ভোট-পরবর্তী গঠিত দলীয় জোটকেও রাজ্যপাল সরকার গঠনের জন্য আহবান জানাতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গতবছর গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কংগ্রেসের চাইতে কম আসন পেলেও রাজ্যপালের কাছে প্রথম সরকার গঠনের প্রস্তাব জানায়। গোয়ার রাজ্যপাল কংগ্রেসের সাথে কথা না বলেই বিজেপির সরকার গঠনের দাবি মেনে নেন। প্রশ্ন উঠছে, কর্নাটক নির্বাচনের পর কংগ্রেস কি বিজেপির দেখানো সেই পথই অবলম্বন করছে?