জনসন টি এ
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ইয়েদুরাপ্পা। কর্নাটকের রাজ্যপালের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-জেডিএস জোট আজ বেঙ্গালুরুতে পথে নেমেছে।
শপথ নেবার পরপরই নতুন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিধানসভা এলাকা বিধান সৌধের পথে রওনা দিয়েছেন। ইয়েদুরাপ্পা মন্ত্রিসভার বাকি মন্ত্রীরা কিছুদিন পর শপথ নেবেন বলে জানা গেছে। বিজেপি ঘনিষ্ঠ এক সূত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাচনী ইস্তাহার অনুযায়ী তিনি আজই রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করবেন। উল্লেখ্য, কর্নাটক নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বি এস ইয়েদুরাপ্পা ঘোষণা করেছিলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলে রাজ্যের কৃষকদের ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সমস্ত ঋণ মকুব করা হবে।
সূত্রের খবর, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বিজেপিকে কোনও বেগ পেতে হবে না। প্রসঙ্গত, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে বিজেপি ৯টি আসন কম পেয়েছে।
কৃষিঋণ মকুবের মত ইস্যুর ওপর ভিত্তি করে বিজেপি'র আশা তাঁরা কংগ্রেস এবং জেডিএস থেকে প্রয়োজনীয় আরও ১৫জন বিধায়কদের সমর্থন পেয়ে যাবেন। জেডিএসের রাজ্য সভাপতি এইচ ডি কুমারস্বামী গতকালই কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন।
কর্নাটকের সিংহাসন নিয়ে রাতভর চলে তীব্র নাটক। রাজ্যপাল ভজুবাই বালা ইয়েদুরাপ্পাকে শপথ নিতে ডাকার আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফেটে পড়ে কংগ্রেস। শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নাড়ে তারা। সুপ্রিম কোর্টে রাত দেড়টার সময়ে পৌঁছে যান কৌঁশুলিরা।
কংগ্রেসের হয়ে মামলা লড়েন অভিষেক সাংভি। বিজেপির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন মুকুল রোহতগি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শীর্ষ আদালত ভোর সাড়ে পাঁচটার সময়ে শপথগ্রহণে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে।