বৃহস্পতিবারই কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটের কথা ছিল। কিন্তু নানা টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। এরপরই আসরে নামেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা। শুক্রবার দুপুর দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে, কুমারস্বামী ও বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে এমন নির্দেশই দেন রাজ্যপাল। দুপুরের ডেডলাইন পেরোলেও আস্থা ভোট হয় না। আরও একবার ডেডলাইন দেন রাজ্যপাল। সেই নির্দেশ না মেনে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব হন কুমারস্বামীরা। রাজ্যপালের চিঠিকে কটাক্ষ করে কুমারস্বামী তা ‘প্রেমপত্র’ বলে বর্ণনা করেন। এদিকে, আস্থা ভোট নিয়ে টালবাহানা নিয়ে পাল্টা আসরে নেমেছে বিজেপিও। উল্লেখ্য, কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের হাতে রয়েছেন ১১৭ জন বিধায়ক। এঁদের মধ্যে কংগ্রেসের হাতে ৭৮ জন, জেডিএসের ৩৭, বিএসপির হাতে ১ ও আরেকজন মনোনীত। অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষ বিজেপির হাতে রয়েছেন ১০৭ জন বিধায়ক। ১৫ জন বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হলে, কুমারস্বামী সরকারের হাতে থাকবেন ১০২ জন বিধায়ক। যার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ১৪ মাসের কুমারস্বামী সরকার।