'কর্নাটকের হিজাব ইস্যুটি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়', এমনই মন্তব্য মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাটিলের। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য কর্ণাটকের স্কুলে হিজাব ইস্যুটিকে তুলে ধরে মহারাষ্ট্রের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা অনুচিত। এ জাতীয় কোনও অপচেষ্টা হলে পুলিশকে কড়া হাতে তা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন পাটিল।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও প্রতিবেশী রাজ্যের এই বিতর্ককে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি এপ্রসঙ্গে বলেন, ''সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সমাজ বিভক্ত হবে না।'' শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে কর্নাটকে। মহারাষ্ট্রের পড়শি এই রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও বেশ উত্তপ্ত। ঘটনার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এখনও এব্যাপারে চূড়ান্ত রায় দেয়নি আদালত। রায়দান না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মীয় পোশাক পরে না আসতেই নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট।
তবে কর্নাটকের এই ইস্যুটি নিয়ে যাতে মহারাষ্ট্রে কোনও গন্ডগোল না হয় সেব্যাপারে আগে থেকে সজাগ সরকার। কর্ণাটকের হিজাব-ইস্যু নিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাটিল বলেন, ''শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে স্কুল ও কলেজে যান। সবাইকে স্কুল-কলেজের নিয়ম মেনে চলতে হবে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, অন্য রাজ্যে কিছু সমস্যা থাকলেও রাজনৈতিক লাভের জন্য তাঁরা যেন মহারাষ্ট্রে ঝামেলা শুরু না করেন।''
তিনি আরও বলেন, ''আমি সবাইকে শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি। মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক লাভের জন্য অন্য রাজ্যের একটি ঘটনাকে ব্যবহার করা ভুল হবে। এমন কোনও সমস্যাই নেই এখানে। স্কুল এবং কলেজগুলিতে শুধুমাত্র শিক্ষার উপরেই বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত। অন্য কোনও বিষয় নিয়ে রাজনীতিকরণ উচিত নয়।''
তবে মহারাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করার চেষ্টা হলে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাটিল। তিনি বলেন, ''মহারাষ্ট্র পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। রাজ্য জুড়ে কোনও সমস্যা নেই। এটা নিশ্চিত করতে পুলিশের কাজ জারি রয়েছে।''
আরও পড়ুন- ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার ব্যাপারে আপাতত সায় দিল না আদালত
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র পুলিশের একজন সিনিয়র অফিসার বলেন, ''মালেগাঁও, বিড, ঔরঙ্গাবাদ এবং পুনেতে কয়েকটি জমায়েত হয়েছিল। তবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র কিছু বিক্ষোভকারী এই জায়গাগুলিতে জড়ো হয়েছিলেন। কোনও আইনশৃঙ্খলার সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। যেহেতু ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত নয়, তাই এখানে খুব বেশি সমস্যা হওয়া উচিত নয়।"
এদিকে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, ''হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ দুর্ভাগ্যজনক। প্রতিটি দেশে এবং রাজ্যে, শাসক ও দায়িত্বশীল সংস্থা এবং দলগুলিকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও বিভাজন না হয় তা দেখতে হবে।"
Read story in English