/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/05/hd-kumaraswamy-759.jpg)
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
২ দিন আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জে ডি (এস) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে দক্ষিণের এই রাজ্যে সরকারে বসেছে জে ডি (এস)। এদিন নিয়মমাফিক আস্থা ভোটের মুখোমুখি কুমারস্বামীরা। কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে আজ আস্থা ভোটে শামিল হতে হবে কংগ্রেস- জে ডি (এস) জোটকে। ২২২টি আসনের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার ১১২। অন্যদিকে জে ডি (এস)- কংগ্রেস জোটের হাতে রয়েছে ১১৮ জন বিধায়ক, যার মধ্যে কুমারস্বামীর দলের রয়েছে ৩৭ জন, বাকি ৭৮ জন কংগ্রেসের, অন্যান্য তিন। বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৪ জন বিধায়কের সমর্থন।
আস্থা ভোটের আগে বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়া হবে। অধ্যক্ষ নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ কে আর রমেশ কুমারের নাম। অন্যদিকে বিজেপির অধ্যক্ষ পদপ্রার্থী এস সুরেশ কুমার।
আরও পড়ুন, Karnataka Assembly: আস্থা ভোটের আগে ইস্তফা দিলেন ইয়েদুরাপ্পা
কর্ণাটকের ২২৪টি আসনের মধ্যে মোট ২২২টি আসনে ভোট হয়। ফল প্রকাশের পর ১০৪টি আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর জে ডি (এস)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি জানিয়ে সরকার গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়ে কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত বিজেপির বি এস ইয়েদুরাপ্পাকেই সরকার গড়তে ডাকেন রাজ্যপাল, যা নিয়ে কর্ণাটকের রাজনীতি নয়া মোড় নেয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নেন ইয়েদুরাপ্পা। এ ঘটনার পরই সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস-জে ডি (এস)। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে গত শনিবার আস্থা ভোটের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সংখ্যা জোগাড় করতে না পারার জেরে কার্যত আত্মসমর্পণের ঢঙে ইস্তফা দেন ইয়েদুরাপ্পা।