কর্নাটক বিধানসভায় আগামিকালই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে। আজ শীর্ষ আদালত এ কথা জানিয়ে দিয়েছে। শনিবার বিকেল ৪ টেয় আস্থাভোট হবে বিধানসভায়। সর্বোচ্চ আদালতের আস্থা ভোটের এই নতুন সময় নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপিও। কর্নাটকের বিজেপি নেতা শোভা করন্দলাজে বলেন, ‘‘আমরা আস্থা ভোটের জন্য তৈরি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবই।’’
ইয়েদুরাপ্পাকে সরকার গড়তে ডেকে কার্যতই ফাঁপরে পড়েছেন কর্নাটকের রাজ্যপাল। ভজুভাই বালার সিদ্ধান্ত নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। কংগ্রেস-জেডি(এস)কে না ডেকে কেন বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকা হল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে এবার রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস ও জেডি(এস)। ভজুভাই বালার সিদ্ধান্তের প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতে দুটি পৃথক আবেদন জানায় কংগ্রেস ও জেডি(এস)-এর তরফে। বিচারপতি এ কে সিক্রি, এস এ ববদে ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আবেদন শুনে আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোরে আপৎকালীন শুনানিতে ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা।
আরও পড়ুন, কর্নাটকের ঘটনায় অভিজ্ঞ কংগ্রেস-আরজেডি, গোয়া-বিহারে রাজ্যপালদের উপর চাপের রণকৌশল
কর্নাটকের রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা নিয়ে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল বলেন যে, সংবিধান একদিকে রয়েছে, আর রাজ্যপাল আরেকদিকে। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপালের পদটি অত্যম্ত সম্মানজনক, একইসঙ্গে সাংবিধানিক। একজন রাজ্যপাল আমাদের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা নন।’’ এ প্রসঙ্গে মমতার আরও কটাক্ষ, ‘‘ব্যক্তিগত পছন্দের জায়গা থেকে একজন রাজ্যপাল কাউকে সরকার গড়তে ডাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’’
আরও পড়ুন, কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ইয়েদুরাপ্পা
এদিকে কর্নাটকের পরিস্থিতি দেখে নতুন চাল চালতে চলেছে কংগ্রেস। রাত পোহালেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গোয়ার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা হবে। তাঁরাই যে সে রাজ্যের একক বৃহত্তম দল, সে কথা জানিয়ে সেখানে সরকার গড়ার দাবি জানানোর কথা কংগ্রেসের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমের কাছে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করছেন গোয়া কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। কর্নাটকের ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে তাঁদের প্রশ্ন, গোয়া এবং কর্নাটকের মাপকাঠি কীভাবে আলাদা হতে পারে! তাঁদের দাবি, সেক্ষেত্রে গোয়াতে সরকার গঠন করতে দিতে হবে কংগ্রেসকে। শুক্রবার সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এই যুক্তিই সাজাবেন বলে ভেবে রেখেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন, Karnataka Election Results 2018 Updates: বিজেপি না কংগ্রেস-জেডি(এস), কার মাথায় উঠবে মুকুট!
শুধু গোয়া নয়, একই পথ বেছেছেন আরজেডি সুপ্রিমো জেলবন্দি লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদবও। নীতীশ কুমার সরকারকে ফেলে দিয়ে তাঁদের সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাতে হবে রাজ্যপালকে, এমন দাবিই তুলেছেন তিনি।