বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে বাংলা জয়ের স্বপ্নে বিভোর কংগ্রেস। সেই সময়ই হাত শিবিরের সংখ্যালঘু বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। কংগ্রেস ছাড়লেন বাদুড়িয়ার বিধায়র কাজি আবদুর রহিম। তিনি কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা ও বিধায়ক গফ্ফর সাহাবের পুত্র। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায় ফিরহাদ হাকিমরা।
এছাড়াও বিরোধী দল থেকে এ দিন বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সহসভানেত্রী মৌমিতা বসু চক্রবর্তী। পদ্ম ফুল ছেড়ে তাঁর ঠাঁই আপাতত জোড়া-ফুলে। তৃণমূলে যোগদান করলেন দলের প্রাক্তন সাংসদ রাধিকারঞ্জন প্রামাণিকের পুত্র শান্তনু প্রামাণিকও।
দু'দিনের সফর সেরে শুক্রবারই দিল্লি ফিরেছেন অমিত শাহ। বাংলায় এসে জানিয়ে গিয়েছেন ২১শের ভোটে ২০০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকারের শাসন-দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন শাহ। ভোট মাথায় রেখে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেতাদের এক যোগে কাজে ঝাঁপানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই দলের মহিলা মোর্চার সহসভানেত্রীর বিজেপির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে রাজনৈতিক অঙ্ক কষেই কংগ্রেসের সংখ্যালঘু নেতাকে তৃণমূলে যোগদান করানো হল। ২১শে ভোটে মেরুকরণ হতে পারে এই অনুমান করে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হোক তা চাইছে না তৃণমূল। তাই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় জয় হাসিল নিশ্চিত করতেই তৃণমূলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। বাদুড়িয়ার বিধায়র কাজি আবদুর রহিমের আগে বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক রফিকূল ইসলাম সিপিএম ছেড়ে তৃণমলে যোগ দিয়েছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন