Advertisment

যেন ঝাড়খণ্ডের রিপ্লে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কিনে তেলেঙ্গানায় সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগ

চন্দ্রশেখর রাওয়ের অভিযোগ, চার জন বিধায়কের প্রত্যেককে ১০০ কোটি টাকা, আর ২৬ বিধায়কের প্রত্যেককে ৫০ কোটি টাকা করে দলবদলের জন্য দিতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
KCR

চন্দ্রশেখর রাও

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রবিবার অভিযোগ করেছেন যে 'দিল্লির দালালরা' (পড়ুন বিজেপি) তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস) দলের চার বিধায়ককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আর, ওই ঘুষ দিয়ে তেলেঙ্গানার অবিজেপি সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনটাই অভিযোগ করেন চন্দ্রশেখর রাও। যে মঞ্চে তিনি এই অভিযোগ করেছেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই চার বিধায়ক।

Advertisment

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বুধবারের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে এক খামারবাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। 'টিআরএস'-এর চার বিধায়ককে দল ছাড়ার টোপ হিসেবে ওই অর্থ দিয়েছিল বিজেপি। মুনুগোদে একটি সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, 'সম্প্রতি, দিল্লির কিছু দালাল তেলেঙ্গানার আত্মসম্মান কেনার চেষ্টা করেছিল। আমাদের নেতাদের প্রত্যেককে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের দল ছেড়ে যেতে বলেছিল। যাইহোক, আমাদের বিধায়করা শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। তাঁর আমার কাছে এসে সব কথা জানিয়ে দেন।'

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ধরনের রাজনীতিতে উৎসাহ দেন বলে অভিযোগ জানিয়ে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, 'আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে তাঁতিদের পরিবার থেকে একটা ভোটও বিজেপিতে না-যায়।' রাও বলেন, 'বিজেপি চাইছে ২০ থেকে ৩০ জন টিআরএস বিধায়ককে কিনে নিতে। আর, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সরকারকে ফেলে দিতে। বিজেপির এজেন্ট এর মধ্যে চার জন বিধায়কের প্রত্যেককে ১০০ কোটি টাকা করে দিতে চেয়েছিল। বাকি বিধায়কদের প্রত্যেককে ৫০ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।'

আরও পড়ুন- আজম খানকে সরাসরি হারাতে পারছেন না, মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছেন যোগী, অভিযোগ অখিলেশের

গেরুয়া শিবির অবশ্য গোটাটাই চন্দ্রশেখর রাও ও টিআরএসের নাটক বলে অভিযোগ করেছে। রাওয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে তেলেঙ্গানা বিজেপির প্রধান বান্দি সঞ্জয় কুমার বলেন, 'এই অভিযোগের পুরোটাই নাটক। গোটা স্ক্রিপ্টটা মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের বাড়ি প্রগতি ভবনে লেখা হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির মাধ্যমে গোটা বিষয়ে তদন্তের দাবি করছি। আমাদের কোনও বিধায়ক কেনার দরকার নেই।'

Read full story in English

bjp KCR Telengana Government
Advertisment