প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বৃহস্পতিবার তীব্র কটাক্ষ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির রাজপথের দেওয়াল এবং বিদ্যুতের খুঁটিতে বেশ কিছু পোস্টার পাওয়া গিয়েছে। সেই সব পোস্টারে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাতে লেখা আছে, 'মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও।' আর তারপরই দিল্লি পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪৪টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই ঘটনাতেই নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যন্তর মন্তরে এক জনসভায় কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর এত ভয় কীসের? আমি দেখেছি যে আমার বিরুদ্ধেও পোস্টার দেওয়া হয়েছে। আমার তা নিয়ে কোনও সমস্যাও নেই। এনিয়ে কোনও এফআইআর বা গ্রেফতারিও হয়নি। কিছু ব্যক্তি দেশকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের একজোট হয়ে দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। দেশের সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে।'
কেজরিওয়ালের এই কথা বলার কারণ, শুধু মোদীর বিরুদ্ধেই নয়। দিল্লিজুড়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধেও বহু পোস্টার পড়েছে। তাই নিয়ে টুইটও করেছেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো। তিনি টুইট করেছেন যে, 'যাঁরা পোস্টার লাগাচ্ছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা উচিত নয়। এই লোকেরা দিল্লিতে আমার বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছে। এতে আমার কোনও আপত্তি নেই। গণতন্ত্রে, জনগণের তাদের নেতার পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে।' মোদীর মত কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধেও পোস্টারে লেখা রয়েছে, 'কেজরিওয়াল হটাও, দেশ বাঁচাও।'
আরও পড়ুন- যে অর্ডিন্যান্স হতে পারত রক্ষাকবচ, তা বাতিল করিয়েই ফেঁসেছেন রাহুল?
মোদীর বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে দিল্লি পুলিশ যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে, তার মধ্যে দু'জন দুটি প্রিন্টিং প্রেসের মালিক। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। কারা ওই পোস্টার লাগিয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে নির্দেশ পেয়েই তাঁরা গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছেন। ওই চার জনকে গ্রেফতার করেছেন। ঘটনার সঙ্গে দেশবিরোধী চক্রের যোগসাজশ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।