পাটনায় নীতীশ কুমারের ডাকে বিরোধী বৈঠকে জোটবদ্ধ লড়াইয়ের শপথ, তবে খটকা রয়ে গেল কেজরীওয়ালদের নিয়েই। আপের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘কংগ্রেস কেন্দ্রের বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সের প্রকাশ্যে বিরোধিতা না করা পর্যন্ত ভবিষ্যতে কোনও বিরোধী বৈঠকে তারা অংশ নেবে না দল’।
এমন পরিস্থিতিতে আজ দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন কেজরিওয়ালের একটি টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন, যেখানে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন কেজরিওয়াল। কী লেখা রয়েছে ওই ট্যুইট বার্তায়? ৫ই অগাস্ট ২০১৯-এ আপের তরফে শেয়ার করা ওই ট্যুইট বার্তায় লেখা রয়েছে "আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি। আমরা আশা করি এটি রাজ্যে শান্তি ও উন্নয়ন আনবে,"।
এই ট্যুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন তুলেছেন ৫৪২ লোকসভা আসনের মধ্যে আপের একজনই মাত্র সাংসদ রয়েছেন। তা সত্ত্বেও আপ যেভাবে অর্ডিন্যান্স ইস্যুতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দিল্লির প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেসের সন্দীপ দীক্ষিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর রাজধানীর প্রশাসনিক রাশ নিজের হাতে রাখার কারণকে স্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি বলেছেন, কেজরিওয়াল এই রাশ নিজের হাতেই রাখতে চান যাতে তাকে জেলে যেতে না হয়’। তিনি অভিযোগ করেছেন কেজরিওয়াল বিরোধীদের ঐক্যের স্বার্থে লড়াই করছেন না বরং পরিষেবা এবং ভিজিল্যান্স বিভাগগুলি দখল করে নিজেকে জেলের বাইরে রাখতে কসরৎ করে চলেছেন। গতকালই বিহারে বিরোধী মহাজোটের বৈঠকের আগে অর্ডিন্যান্স সমর্থন না করার পিছনে কংগ্রেসের "আসল উদ্দেশ্য" নিয়ে প্রশ্ন তোলে আপ। ঠিক তার একদিন পরে কংগ্রেস নেতারা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।