মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরে। আগামী তিন দিনের মধ্যে, দেশের দুই রাজ্যে তিন বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির (এএপি) জাতীয় আহ্বায়ক মুম্বই যাওয়ার আগে কলকাতায় যাবেন দেশের অন্যতম বিশিষ্ট নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে। অধ্যাদেশ জারি করে দিল্লির ওপর যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে, তা পুনরুদ্ধার এখন কেজরিওয়ালের লক্ষ্য।
নিজের রাজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য আপ সুপ্রিমো এখন কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর জোগাড় করতে চান। দিল্লি সরকারের অধীনে কর্মরত আমলারা। তাঁদের নিয়োগ বা বদলির ওপর কার নিয়ন্ত্রণ থাকবে, তা-ই নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আপ সরকারের বিবাদ চরমে। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা পাস কাটিয়ে জারি করা কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ক্ষমতা থাকবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে। যিনি আবার কেন্দ্রের প্রতিনিধি।
কেন্দ্রের এই ধরনের মর্জিমাফিক নির্বাচিত দিল্লি সরকারকে বিপাকে ফেলার বিরুদ্ধে দেশজোড়া প্রতিবাদ চান কেজরিওয়াল। আর, সেই কারণেই তিনি বেছে বিরোধী নেতাদের কাছে দরবার করতে যাচ্ছেন। বিরোধী শিবিরে হলেও কংগ্রেস আপেরও বিরোধী। সেই কারণে সাহায্য চাইতে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দেখা করার কোনও চেষ্টাই করেননি কেজরিওয়াল। বরং, যে নেতা ও নেত্রীরা বিরোধী শিবিরে থাকলেও বিজেপির সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছেন, সেই প্রবীণ শরদ পাওয়ার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়াই তিনি শ্রেয় বলে মনে করেছেন।
আরও পড়ুন- আরও কড়া বিধিনিষেধের ঘেরাজালে পুতিনের রাশিয়া, মস্কোকে নিঃসঙ্গ করার তোড়জোড়
তার আগে অবশ্য রবিবারই আপ সুপ্রিমো নয়াদিল্লিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার এবং আরজেডি নেতা তথা বিহার সরকারে নীতীশের ডেপুটি তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকের পর কেজরিওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা যদি রাজ্যসভায় অর্ডিন্যান্সটি পাস করা বন্ধ করতে সফল হই, তবে সেটা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে একটা বার্তা দেবে যে বিজেপি চলে যাচ্ছে।' আর, সেই লক্ষ্যেই এবার বিরোধী নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন আপ সুপ্রিমো।