সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে প্রস্তাবনা পাস হল কেরালা বিধানসভায়। প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছে শাসক এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ। কেরালা বিধানসভায় রয়েছেন মাত্র ১ জন বিজেপি বিধায়ক। একমাত্র সেই প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
সিএএ থেকে এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে কেরালার বাম সরকার। তাকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউডিএফ। নয়া নাগরিকত্ব আইনকে 'বৈষম্যমূলক' ও 'সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষ' ধারার বিরোধী বলে দাবি করে বিরোধিদের। কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনেই বাম সরকার কেরালা বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: কেরালায় ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণ বন্ধ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বিধানসভার বিতর্ক ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজায়ন বলেন, 'সিএএ ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ ও মূলনীতির পরিপন্থী। নয়া আইন দেশবাসীর মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। যা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ওই আইন প্রত্যাহার করা।' তাঁর সংযোজন, ' সিএএ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের মাথা হেঁট করে দিচ্ছে।' মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়েছে দেন কেরালায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।
আরও পড়ুন: বাংলার পর কেরালায় বন্ধ হল ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারের কাজ
এদিন বিধানসভায় হিটলারের সঙ্গে আরএসএসের তুলনা করেন পিনারাই বিজয়ন। তাঁর কথায়, 'মুসলমান, খ্রীষ্টান ও কমিউনিস্টরা হলেন আরএসএসের চির শত্রু। যেমন জার্মানিতে হিটলার মনে করত বলশেভিক ও জিউ-রা তাঁর শত্রু।'
কারালার বিরোধী দলনেতা চেন্নিথালা সিএএ প্রত্য়াহারের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, 'ভারতকে ধর্ম-নিয়ন্ত্রিত দেশ বানাতে মরিয়া বিজেপি। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। কেন্দ্র বলছে এনপিআর করবে এনআরসির প্রথম ধাপ হিসাবে। তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা জনগণনার বিরোদী নই। তবে, যে প্রশ্নমালা তার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।'
কোনও কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় সরকার ও বিরোধী একজোট হয়ে ভোট দিচ্ছে, তা বেশ বিরল।