দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে বিজেপি সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতিতে থাকলেও কেরালায় পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অন্তিম লগ্নে নিশ্চিহ্ন মোদী-শাহর দল। পাঁচটির মধ্যে তিনটিতে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ), আর অন্য দুটিতে সিপিএম-এর নেতৃত্বাধীন লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)। এর্নাকুলাম, মঞ্জেশ্বরের পাশাপাশি আরুরের আসনেও সিপিএমকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। অন্যদিকে, ভাত্তিওরকাভু এবং কোন্নির দুটি আসনে ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছে লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। ভাত্তিওরকাভু, কোন্নি এবং মঞ্জেশ্বরের আসনগুলিতে গেরুয়া শিবির ভালো ফলের আশা করলেও ইউডিএফ এবং এলডিএফের ভোট ব্যাঙ্কের লড়াইয়ে দক্ষিণের এই রাজ্যে কেন্দ্রের শাসক দলের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে এগিয়ে বিজেপি-শিবসেনা, হরিয়ানায় নয়া চাল কংগ্রেসের
উল্লেখ্য, উপ-নির্বাচনের এই লড়াইটিই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলডিএফ, ইউডিএফ এবং এনডিএর মধ্যে সম্ভাব্য শেষ লড়াই। গত বছর মঞ্জেশ্বরের উপনির্বাচনের সময় সেই আসনের বিধায়কের মৃত্যুর কারণে তা শূন্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, বাকি চারটি আসনের বিধায়করা লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ হয়ে যাওয়ায়, সেই আসনগুলিও শূন্য হয়ে পড়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মত, কেরালার এই আসনগুলিতে উপনির্বাচনের চিত্র আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে।
আরও পড়ুন- উপত্যকায় আর কতদিন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে? কেন্দ্রকে ‘সুপ্রিম’ প্রশ্ন
লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়লেও রাজ্য জুড়ে সেই ভরাডুবির ধাক্কা কাটিয়ে গত মাসেই কেরলের পালা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয় সিপিএমের নেতৃত্বাধীন এলডিএফ। এরপরই এই উপনির্বাচনে ভাত্তিওরকাভু এবং কোন্নি আসনে জয়, ফের লড়াইয়ের মঞ্চে বামশক্তির ফিরে আসার ইঙ্গিতবাহক, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীশক্তি হিসেবে থাকা কংগ্রেসের এই শক্তিবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে বড় জয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের। তবে কেরালায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির আশা থাকলেও প্রতিদ্বন্দীদের সাংগঠনিক দক্ষতায় তা যে বাধাপ্রাপ্ত তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে উপনির্বাচনের এই ফলাফল।
Read the full story in English