বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেরলের রাজ্যপাল অরিফ মহম্মদ খান। রাজ্যপালের অভিযোগ, তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে এবং সেই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। রাজ্যাপেলর অভিযোগ, গত দু'বছরে তিনি রাজ্য সরকারের কোনও চাপের মুখেই নতি স্বীকার করেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে গুন্ডাগিরি চালিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে রাজ্যপাল পদ থেকে সরতে বাধ্য করা হচ্ছে।
সোমবার দুটি ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনাতেই আঙ্গুল উঠেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের দিকে। দুপুরে শহরে বণিক সভার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় এসএফআই সমর্থকেরা রাজ্যপালের কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে। রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হয়। রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে ওই ঘটনায় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ১১ জন এসএফআই সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। দ্বিতীয় ঘটনাটি রাতের।সন্ধ্যার পর রাজ্যপাল দিল্লির উদ্দেশ্যে রাজভবন ছাড়েন। বিমানবন্দর অভিমুখে তাঁর কনভয় এক জায়গায় আটকানোর চেষ্টা হয়। কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। রাজ্যপাল গাড়ি থেকে নেমে আসেন। ওই সময় এসএফআইয়ের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়।
ওই সময় রাজ্যপাল খান রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। বলেন, 'আমি যখন নামলাম, পুলিশ ওদের গাড়িতে পাঠিয়ে দিল এবং ওরা পালিয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রীই যখন নির্দেশ দিচ্ছেন তখন বেচারা পুলিশ কী করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীই ষড়যন্ত্র করছেন। আমি স্পষ্টভাবে বলছি যে তিনি আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার জন্য এই লোকদের পাঠাচ্ছেন। আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার ষড়যন্ত্র করা মুখ্যমন্ত্রীর কাজ নয়…'
আরও পড়ুন- মমতার জেদেই শেষমেশ সাড়া, পদক্ষেপ করলেন মোদী
সিপিএম সরকার এখনও আরিফ মহম্মদ খানের অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেনি।
কেরলের বাম পরিচালিত রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালদের বিবাদ নতুন নয়। তবে কোনও রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শারীরিক নিপীড়নের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ তেমন শোনা যায়নি।