সরকারি অফিসে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য দলের কাছে প্রার্থীতালিকা চেয়ে বিতর্ক জড়ালেন কেরলের সিপিএম নেতা তথা তিরুঅনন্তপুরমের মেয়র আর্য রাজেন্দ্রন। যে চিঠি তিনি পাঠিয়েছেন, তা মেয়রের প্যাডে লেখা। আর, এতেই বিতর্ক তীব্র আকার নিয়েছে।
বিরোধী দল বিজেপি মেয়রের পদত্যাগ চেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত আর্য রাজেন্দ্রন জানিয়েছেন, ওই চিঠি তাঁর লেখা নয়। এমন কোনও চিঠি তিনি দলকে পাঠাননি। তার প্রেক্ষিতে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে বিরোধী দল।
গেরুয়া শিবির দাবি করেছে, বিষয়টি সাজানো হলে এই ঘটনা কেরল পুলিশের সাইবার সেলকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। ২০১৬ সালে কেরলে সিপিএম ক্ষমতায় এসেছে। তারপর থেকেই তারা দলীয় কর্মীদের পিছনের দরজা দিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। পরে, ব্যাপারটা কার্যত নিয়মিতই হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
তিরুঅনন্তপুরমের মেয়রের লেখা এই চিঠি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই চিঠি দলের জেলা সম্পাদক অনাভুর নাগাপ্পানকে লিখেছেন আর্য রাজেন্দ্রন। চিঠিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ১ নভেম্বর। চিঠিতে লেখা আছে তিরুঅনন্তপুরম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের শহর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৯৫টি অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের পদ ফাঁকা হয়েছে। এই নিয়োগের জন্য দল প্রার্থীতালিকা পাঠাক।
আরও পড়ুন- গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে প্রশাসনের মাথা ছোট হতে হবে, মত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের
যে পদগুলো ফাঁকা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ৭৪ জন চিকিৎসক, ৬৬ জন স্টাফ নার্স ও ৬৪ জন ফার্মাসিস্টের পদ। চিঠির ব্যাপারে রাজেন্দ্রন জানিয়েছেন, 'যেদিন ওই চিঠি লেখা হয়েছে বলে উল্লেখ আছে, সেই তারিখে আমি তিরুঅনন্তপুরমেই ছিলাম না। দল গোটা বিষয়টি দেখছে।' আর, যাঁকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে লেখা আছে, সেই জেলা সম্পাদক নাগাপ্পান বলেন, 'বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আমি বলব না যে ওটা জাল চিঠি। কারণ, আমি এমন কোনও চিঠি এখনও অবধি দেখিনি।'
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন জানিয়েছেন, এই মেয়র পারিষদকে বরখাস্ত করা উচিত। কারণ, এমন চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। আর, রাজেন্দ্রনের মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত।
Read full story in English