Kharge’s RSS remark causes uproar in Rajya Sabha: বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের আরএসএস সংক্রান্ত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যসভা। যার প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। তিনি পালটা মন্তব্য করেন, 'কোনও সংগঠনের সদস্য হওয়াটা কি অপরাধ?' সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংসদে ছিলেন রীতিমতো আক্রমণাত্মক মেজাজে। নিট (NEET) পরীক্ষায় কথিত অনিয়ম থেকে শুরু করে অগ্নিপথ প্রকল্প পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি সরকারকে তুলোধনা করেন। যাকে ঘিরে রাজ্যসভায় বিতর্ক তীব্র আকার নেয়।
সরকারপক্ষ খাড়গের বক্তৃতায় বারবার বাধা দেয়। তারই মধ্যে খাড়গে অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং এর সদস্যদের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার শীর্ষপদে নিয়োগ করা হচ্ছে। খাড়গের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই পালটা মন্তব্য করে বসেন রাজ্যসভায়র চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। তিনি সমালোচনার সুরে পালটা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করে বসেন, 'কোনও একটি সংগঠনের সদস্য হওয়াটা কি অপরাধ?'
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতাকেও মঙ্গলবার খাড়গে তাঁর বক্তব্যের নিশানা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী 'ভুল তথ্য ছড়িয়ে' সমাজে 'বিভাজন' তৈরির চেষ্টা করেছেন। এই অভিযোগের সময় খাড়গে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদসূচক প্রস্তাবের জবাব দিচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসায় পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু, সেই ভাষণ সমাজের সমস্যাগুলো সমাধানের কোনও পথ দেখাতে পারেনি।
এই প্রসঙ্গে খাড়গে রাজ্যসভায় বলেন, 'এবছর রাষ্ট্রপতির প্রথম ভাষণ ছিল জানুয়ারিতে। দ্বিতীয়টি জুনে। প্রথম ভাষণটি ছিল নির্বাচনের জন্য। আর, দ্বিতীয়টিও ছিল ঠিক একইরকম। দুটো ভাষণের মধ্যে কোনও ফারাক ছিল না। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতির ভাষণে সমস্যা সমাধানের কোনও দিকনির্দেশও ছিল না।' এর পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতির ভাষণকে একহাত নিয়ে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, 'আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে রাষ্ট্রপতি সংবিধান এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ওঠা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কিছু বলবেন। তিনি তাঁর ভাষণে দলিত, সংখ্যালঘু এবং অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কিছু বলবেন। কিন্তু, তাঁর ভাষণে সেসব কিছুই ছিল না। আগের মতো, তাঁর নতুন ভাষণটিও ছিল সরকারের প্রশংসাসূচক শব্দে ভরা।'
আরও পড়ুন- জেলবন্দি কাশ্মীরি নেতাকে সাংসদ পদে শপথের সুযোগ, ইঞ্জিনিয়ার রশিদকে সম্মতি এনআইএ আদালতের
বিরোধী দলনেতা মণিপুরের সংঘাত ইস্যুতেও প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী কাজের কাজ কিছু করে দেখাতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, 'শুধু স্লোগান দিতেই পারেন। মোদী সরকার তার ব্যর্থতা লুকিয়ে রাখতে পারদর্শী। রাষ্ট্রপতি জোর দিয়ে জানিয়েছিলেন যে আমরা ভারতের ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করব। কিন্তু আমাদের ১০ বছরের অভিজ্ঞতা হল যে এই সমস্ত ঘোষণা বাস্তবে কেবল বক্তৃতাতেই থেকে গেছে।'