Haryana CM, Ministers Resign: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় রাজনৈতিক ডামাডোল। মঙ্গলবার সকালে আচমকাই পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। ভোটের আগে জোট শরিক জেজেপি-র সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা ইস্তফা দিলেন। সেইসঙ্গে জেজেপি-র সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করার পথে বিজেপি। এরপরই পরিষদীয় দলের বৈঠকে খট্টর দলের রাজ্য সভাপতি তথা কুরুক্ষেত্রের সাংসদ নয়াব সিং সাইনিকে পরিষদীয় নেতা বেছে নেন। আজ, মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন সাইনি। সেই সঙ্গে শাসক জোটও ভাঙল। নির্দল বিধায়কদের সমর্থনে সরকার গড়বে বিজেপি। মন্ত্রিসভাতেও জেজেপির কোনও বিধায়ক থাকবে না বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি এবং জননায়ক জনতা পার্টি তাদের বিধায়কদের নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করে। নিজের বাসভবনে সমস্ত দলীয় বিধায়ক-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন খট্টর। তার পরই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে ইস্তফা দিয়ে আসেন তিনি এবং বাকিরা। সরকারি সূত্রে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, জোট শরিকের কোনও বিধায়ককে না রেখে নয়া মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছে বিজেপি। জেজেপির বদলে নির্দল বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করবে তারা। যেহেতু নয়াব সিং সাইনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন তাই তাঁর জায়গায় লোকসভায় কুরুক্ষেত্র থেকে লড়তে পারেন মনোহর লাল খট্টর।
উল্লেখ্য, হরিয়ানায় ১০টি আসনের মধ্যে জেজেপিকে ২টি আসন ছাড়তে নারাজ বিজেপি। ২০১৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় জেজেপি-র সঙ্গে জোট সরকার গঠন করে বিজেপি। জেজেপি নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সোমবার। দিল্লিতে সেই বৈঠকে নাড্ডা তাঁকে জানিয়ে দেন, দল তাদের কোনও আসন ছাড়তে পারবে না। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন চৌটালা। তবে চৌটালার জন্য আরও অস্বস্তির, দিল্লিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির দলের চার বিধায়ক। তাঁর মধ্যে চৌটালার ঘনিষ্ঠ এক বিধায়কও রয়েছেন। সম্ভবত তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন।
মঙ্গলবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকও হয়নি চৌটালার। জানা গিয়েছে, হিসার এবং ভিওয়ানি-মহেন্দ্রগড় লোকসভা আসন বিজেপির কাছে দাবি করেছিল জেজেপি। প্রার্থীও ঠিক করা ছিল। আগামী ১৩ মার্চ হিসারে একটি জনসভাও করার কথা জেজেপি-র। সেখানে শক্তিপ্রদর্শন করত চৌটালার দল।
সূত্রের খবর, দুই দলের জোট ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি একাই ১০টি লোকসভা আসনে লড়বে। এর আগেও কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে কয়েক বছর আগে দুই দলের জোট ভাঙার মুখে চলে আসে। এবার লোকসভা নির্বাচনের পরই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জোট ভেঙে একলা চলার বার্তা দিল বিজেপি। এই মুহূর্তে ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক ৪১ জন, জেজেপি-র ১০, বিরোধী দল কংগ্রেসের ৩০ জন, নির্দল ৭ জন এবং ভারতের জাতীয় লোকদল এবং হরিয়ানা লোকহিত পার্টির একজন করে বিধায়ক রয়েছেন।