বিগত কয়েক বছরে বাংলায় একাধিক বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছিলেন। ৩০ মে'র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতারা বাংলার নেতাদের সৌজন্য বার্তা দিতেই শপথ গ্রহণে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর বলছে, ৫৪ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রাক নির্বাচনী প্রচারের সময়েই তৃণমূল-বিজেপি অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল। গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল বিস্তর।
মেদিনীপুরের প্রয়াত মনু হাঁসদার পুত্র সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, "আমার বাবাকে খুন করেছিল তৃণমূলের গুণ্ডারা। আমাদের এলাকায় এখন শান্তি রয়েছে। কাল দিল্লি যাচ্ছি। মোদীর আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা খুশি"।
আরও পড়ুন, ফের তৃণমূলে ভাঙন! বিজেপিতে তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম
৩০ মে সন্ধ্যে সাতটার সময় দিল্লির রাষ্ট্রপতিভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে ভাষণে নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমাদের দলের শয়ে শয়ে কর্মী শহিদ হয়েছেন। তাঁদের আদর্শের জন্য মেরে ফেলা হয়েছে তাঁদের। কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের এই পরিমাণ হিংসার শিকার হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল"। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বিকার করেছে।
দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে মোদী সরকার। আগামী কাল, ৩০ মে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ৬০০০ অতিথির উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ হবে। আমন্ত্রিত হয়েছেন বিমস্টেক সদস্য দেশের নেতারা। তবে জয়ের পর শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েও ডাক পাননি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরাণ খান।
Read the full story in English