/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/congress-bjp-abdul-nazeer.jpg)
'ভারত আর ওদের ব্যক্তিগত জমিদারি নয়', কড়া তোপ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর।
অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আবদুল নাজিরকে। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বিচারপতিদের অবসরের পর এই ধরণের পদে নিয়োগের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ঢাল করা হয়েছে প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ জেটলিই এক সময়ের মন্তব্যকে। যদিও এসবকে খড়কুটোর মত উড়িয়ে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। নানা প্রশ্ন ওঠানোয় পাল্টা হাত শিবিরকেই তোপ দেগেছেন তিনি। টুইটারে তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'পুরো ইকো-সিস্টেম আবারও এই ইস্যুতে পুরোদমে চলছে।'
কী বলেছেন কিরেন রিরিজু?
মন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, 'একজন গভর্নর নিয়োগের জন্য পুরো ইকো-সিস্টেম আবারও পুরোদমে চলছে। তাদের (কংগ্রেস) ভালভাবে বোঝা উচিত যে ভারত আর ওদের ব্যক্তিগত জমিদারি নয়। এখন, সংবিধান অনুসারে ভারত ভারতীয়দের দ্বারাই পরিচালিত হবে।'
তবে আক্রমণের সময় শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসের নাম একবারও লেখেননি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
The Whole Eco-system is once again in full swing on the appointment of a Governor.
They should better understand that, they can no more treat India as their personal fiefdom. Now, India will be guided by the people of India as per the provisions of the Constitution of India.— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) February 12, 2023
কেন বিতর্ক?
২০১৯ সালে যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ অযোধ্যায় রামমন্দিরের পক্ষে রায় দিয়েছিল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি এস আবদুল নাজির। এছাড়া, ২০১৬ সালে মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না বলে সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছিল তারও অন্যতম সদস্য ছিলেন এই নাজির। গত ৪ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। এরপরই নাজিরকে রাষ্ট্রপতি অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করলেন।
এই নিয়োগের নেপথ্যে গভীর রাজনৈতিক সমীকরণ রযেছে বলে দাবি কংগ্রসের। নাজিরের নিয়োগের সমালোচনা করে প্রয়াত বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অরুণ জেটলির একটি মন্তব্যকে তুলে ধরা হচ্ছে।
কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, 'প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি এক সময় বলেছিলেন, অবসরের পরে নতুন পদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বিচারপতিদের অবসরের আগের রায়কে প্রভাবিত করে। এটা বিচারবিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে বিপজ্জনক।'
সিংভির কথায়, 'আমরা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নই। ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে আবদুল নাজিরেরপরিচল রয়েছে, ওঁকে আমি সম্মান করি। কিন্তু নীতিগত ভাবে আমরা এই ধরণের নিয়োগের বিরুদ্ধে। এটা বিচারবিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে বিপজ্জনক এবং বিচারবিভাগকে মানের নিম্নগামিতাকে প্রকাশ করে।'