/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/cats-49.jpg)
'ভারতে বিচার বিভাগ স্বাধীন... গণতন্ত্র আমাদের রক্তে রয়েছে', রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের পাল্টা সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরন রিজিজু। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ব্রিটেন সফরে গিয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিদেশের মাটিতে দেশের সমালোচনা জবার দিয়েছেন আইনমন্ত্রী কিরন রিজিজু।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় নিজের সাম্প্রতিক ভারত জোড়ো যাত্রার অভিজ্ঞতা নিজের বক্তৃতায় তুলে ধরেন রাহুল। ভারতীয় গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, “আমার ফোনেও পেগাসাস ছিল।” তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর উপর আক্রমণ হয়েছে। রাহুলের দাবি, এক গোয়েন্দা আধিকারিক তাঁকে এই বিষয়ে সতর্ক করেন যে তাঁর ফোনে সব কথা রেকর্ড করা হচ্ছে।
তাঁর এমন বক্তব্য নিয়ে দেশে তোলপাড় চলছে। তিনি সরাসরি মোদী সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ভারতের গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে, তাকে এবং আরও অনেক নেতার ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু রাহুল গান্ধীর দিকে পাল্টা আঘাত করে বলেন যে, ‘বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে ভারতের বিচার বিভাগ এবং গণতন্ত্র বিপন্ন, এটা সত্যি নয়। মোদীর নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে”।
Indian Judiciary is independent. And Indian Judiciary can never be forced to play the roles of opposition Party. No body can even question Indian democracy because democracy runs in our blood.
A short clip of my remarks at Central Govt Law Officers Conference at Bhubaneswar pic.twitter.com/fSqrUo5qu4— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) March 4, 2023
এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং ভারতীয় বিচার বিভাগকে কখনই বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে বাধ্য করা যাবে না। ভারতীয় গণতন্ত্রের ওপর প্রশ্ন তোলাও উচিত নয়। কারণ গণতন্ত্র আমাদের রক্তে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “দেশের ভিতর ও বাইরে একটা শ্রেণী সব সময় বিশ্বকে দেখানো চেষ্টা করে ভারতের গণতন্ত্র সেই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থা সমস্যায় জর্জরিত বিশ্বকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছেন কিছু মানুষ। এটা নেহাতই এক সস্তার রাজনীতি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা হয়তো নিজেকে প্রাচীনতম গণতন্ত্র বলে দাবি করতে পারে, কিন্তু বাস্তবে ভারত গণতন্ত্রের জননী’। রবিবার একের পর এক টুইট বার্তায় রিজিজু বলেন, “এদের ভালোভাবে বোঝা উচিত কার নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। ভারতের জনগণ এই ধরণের কুৎসার উপযুক্ত জবাব দেবে।”
তিনি আরও বলেন ভারত বিরোধী বিদেশী শক্তি এই ধরণের মন্তব্যেকে সমর্থন করছে। ক্রমাগত ভারতীয় গণতন্ত্র, ভারত সরকার, বিচার বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই এদের কাজ। আসলে, রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ইন্ডিয়া ইনসাইটস প্রোগ্রামে, বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর বর্বর আক্রমণের কারণে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ ছিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।