কীর্তির দলবদল নতুন নয়। এর আগে রাজনীতিতে এসেই বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পরে দলবিরোধী আচরণের অভিযোগে বিজেপি তাঁকে সাসপেন্ড করে। ২০১৯ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কীর্তি। আজ দিল্লিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে প্রাক্তন সাংসদ যোগ দিলেন জোড়াফুলে।
২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন কীর্তি। তবে ২০১৫ সালে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলিকে আর্থিক দুর্নীতি ইস্যুতে নিশানা করে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন তিনি। জেলা ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশনেরও বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। ফল-স্বরূপ বিজেপি তাঁকে সাসপেন্ড করে।
বিজেপিতে মোহভঙ্গের পর ২০১৯ সালে তিনি যোগ দেন কংগ্রেসে। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বিশেষ করে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কীর্তির একাধিক বিষয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়। সেই কারণেই দলের সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব বেড়েই চলছিল। কীর্তি আজাদ নিজেও এই মুহূর্তে মোদী-শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপির বিরোধিতায় প্রধান মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এগিয়ে রাখছেন।
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে কীর্তি আজাদ বলেন, ''দিদির নেতৃত্বে কাজ করব। আজ দেশের এমনই একজন নেত্রীর প্রয়োজন, যিনি দেশকে সঠিক দিশা দেখাতে পারেন। মাটি থেকে লড়াই করেছেন দিদি। মমতার নেতৃত্বে দেশের সেবা করব। দেশের মধ্যে থেকে যাঁরা দেশের মধ্যে বিভাজন করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে লড়ব।''
১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের এই তারকার পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) নেতা পবন বর্মা। দলের উত্তরীয় পরিয়ে এদিন পবনকে তৃণমূলে স্বাগত জানিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন