গতকাল রাত্রে আদৌ কি ঘটেছিল নজরুল মঞ্চে, এই নিয়ে নানান ধরনের গুজব। কেউ বলছেন মাত্রাধিরিক্ত লোক, আবার কেউ বলছেন এসি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণেই সেখানে দমবন্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এদিকে অনুষ্ঠানের মাঝেই ক্রমাগত ঘামছিলেন কেকে। বারবার এমনও বলেছিলেন, লাইটের মাত্রা কম করলেই একটু স্বস্তি পাবেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। অনুষ্ঠান শেষের পর হোটেলে ফিরতেই মৃত্যু হল তাঁর। তবে গতকালের সমস্ত ঘটনাই অস্বীকার করেছেন তৃনমূল ছাত্র সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
Advertisment
গতকাল আসলেই কী ঘটেছিল এই নিয়ে প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, লোকের ভিড় এর সঙ্গে উনার মৃত্যুর আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই। আর যে বা যারা এই কথা বলছেন যে সেখানে ৭ থেকে ৮ হাজার লোক ছিল, এই তথ্যও ভুল। তাঁর কারণ মার্জিন লেভেলের বাইরে গিয়ে কোনও অনুষ্ঠানেই মানুষ যোগ দিতে পারেন না। অনেকেই বিনা পাশে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভেতরে ঢুকতে পেরেছিলেন আবার কেউ কেউ না। অনেকেই ফেরত চলে আসেন। আর এমন এসির সমস্যা এর আগে অনেক শিল্পীর শোয়েই হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যু হয়নি।
প্রসঙ্গে উদাহরণ দিলেন, রক সঙ্গীত শিল্পী রূপম ইসলামের শোয়েরও। ছাত্রনেতার বক্তব্য, রূপমের শোয়ে এর থেকে অনেক বেশি ভিড় হয়, উত্তেজনা থাকে। যদিও বা তাঁর তরফে এমন কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি। তবে আজ সকালেই রূপম নিজের ফেসবুক মাধ্যমে জানান যে নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করার কী অভিজ্ঞতা আমি জানি। এসি বন্ধ হয়ে যায়, স্টেজে সারি বেঁধে দর্শক দাঁড়িয়ে থাকে। শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না। হয়তো কেউ বুঝবেন না কতটা কষ্ট করে প্রোগ্রাম করতে হয়। শো সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই হাওয়ায় উড়িয়ে দিলেন তৃণাঙ্কুর। তিনি বললেন, আমি গোটা অনুষ্ঠান জুড়ে উপস্থিত ছিলাম, আমার চোখে কোনওরকম কিছু ফল্ট পড়েনি। এমনকি ১০ মিনিটের বিরতি নেওয়ার প্রসঙ্গেও ইতি টেনেছেন ছাত্রনেতা। বললেন, শুধু সম্বর্ধনা দেওয়ার সময়ই উনি বিরতি পেয়েছিলেন। বাকি সময় শুধুই শো করতে ব্যাস্ত ছিলেন।
প্রথম দিন থেকেই কলেজের প্রোগ্রাম নিয়ে উৎসাহী ছিলেন অনেকেই। নানা মাধ্যম থেকে পাশ সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন বহু ছেলেমেয়েরা। এদিকে প্রত্যক্ষ-দর্শীদের একাংশের দাবি নজরুল মঞ্চে লাগামছাড়া ভিড়ের কারণেই যত গণ্ডগোল। বাইরের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিও ভস্মে ঘি ঢালার মত। অটোপ্সি রিপোর্ট বলছে, কেকে-র হার্টে সমস্যা ছিল।