রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল কেএমসি সংশোধনী ২০১৮ বিল। আগামী দিনে রাজ্যের অন্যান্য কর্পোরেশন, পুরসভা ও পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য করার কথা ভাববে রাজ্য সরকার। এই আইন পাশের পর তা রাজ্যপালের স্বাক্ষরের করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মেয়র পদে শোভন চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করার পর কলকাতা কর্পোরেশনে নির্বাচিত কাউন্সিলরের পরিবর্তে বাইরে থেকে মেয়র করার জন্যই বর্তমান আইন পরিবর্তন করা হল।
রাজ্য বিধানসভায় এদিন দ্বিতীয় পর্যায়ে বিল পেশ করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ 'ববি' হাকিম। এর আগে কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা বিধানসভা বয়কট করেন। তাঁরা বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। এমনকি বিধানসভার বাইরে রাস্তায় অবরোধ করেন যখন বিল পেশ করা হয়। তখন বিধানসভায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিধায়করা হাজির ছিলেন। এদিকে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, কলকাতা পুরসভায় একজনও কাউন্সিলার নেই যিনি মেয়র হতে পারেন। তাই বাইরে থেকে মেয়র করা হচ্ছে। এদিনই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজের নিরাপত্তারক্ষীকে পাঠিয়ে পুর চেয়ারপার্সন মালা রায়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: শোভন যুগের অবসান, এবার কি ববি-অতীন জুটি?
বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিধানসভায় বলেন, "কলকাতা কর্পোরেশনে তৃণমূলের 112 জন কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও কেন মেয়র পদের যোগ্য কাউকে পাওয়া গেল না?" যদিও এই বিলের বিরোধিতা করেননি তিনি। এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনাদের দলে রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজের মতো নেতানেত্রী থাকতে কেন নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে? কেন অমিত শাহকে দলের সভাপতি করা হয়েছে? কে মেয়র হবেন এটা আমাদের দলের বিষয়। কেউ ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে পদত্যাগ করতেই পারেন। আপনাদের (বিদেশ প্রতিমন্ত্রী) এম জে আকবরও তো পদত্যাগ করেছেন।"
ধ্বনি ভোটে কেএমসি সংশোধনী বিল ২০১৮ পাস হয়ে যায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত স্তরে যাতে এই আইন কার্যকর করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য পৌরসভা ও কর্পোরেশনে এই আইন প্রয়োগ করার কথা ভাবছে সরকার।