কলকাতায় সবুজ সুনামি। যে ১১টি ওয়ার্ড বিরোধীদের দখলে গিয়েছে তার মধ্যে ৩টিতে জয় পেয়েছে নির্দল। কিন্তু, ভোটে জয়ের পরই শাসক শিবিরে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিন জয়ী নির্দল প্রার্থী। উন্নয়নের কাজে সুবিধার জন্যই তাঁদের এই আগ্রহ প্রকাশ বলে জানিয়েছেন।
৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন আয়েশা কানিজ। ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী নির্দল প্রার্থী রুবিনা নাজ। ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী পূর্বাশা নস্কর। আয়েশা ও পূর্বাশা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। এই দুই প্রার্থীয় আবেদন তৃণমূল সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব বিবেচনা করবেন বলে দাবি দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- কলকাতায় ভোট বাড়ল বামেদের, বিরোধী ভোটের অভিমুখ বদলের ইঙ্গিত?
৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন আয়েশা কানিজ। তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'সবার প্রচেষ্টাতেই এই জয় এসেছে। তাই ওয়ার্ডের উন্নয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই করতে আগ্রহী আমি। তাই শাসক দলে যোগ দিতে চাই।'
পূর্বাশা নস্কর, ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী নির্দল প্রার্থী। গণনার শেষে তিনি এগিয়েছিলেন। সেই সময় গণনাকিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে ও তাঁর এজেন্টকে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন পূর্বাশা। তাঁর নিশানায় ছিল তৃণমূল। অথচ জয়ের পর সেই নির্দল প্রার্থী পূর্বাশাই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন কেন? তাঁর কথায়, 'যা ঝামেলা ছিল তা এখন অতীত। ওয়ার্ডের উন্নয়ের জন্য নেত্রীরঅনুপ্রেরণায় কাজ করতে চাই।'
আরও পড়ুন- ঘাসফুলের দৌড় থমকে গেল ৪৫-এ, সন্তোষের শক্ত কাঁধে ভর রেখে গড় রক্ষা কংগ্রেসের
জানা গিয়েছে, জয়ী নির্দল তিন প্রার্থীই আদতে তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু, ওয়ার্ডে অন্যকে প্রার্থী করায় তাঁরা মেনে নিতে পারেননি। ফলে নির্দল হয়ে ভোটে লড়েন। স্থানীয় তৃণমূলের একাংশের মদত ও নিজেস্ব জনপ্রিয়তায় জয়ী হন তাঁরা। এবার ভোটের পর বিরোধী ভুলে ফের দলে ফিরতে আগ্রহী আয়েশা কানিজ ও পূর্বাশা নস্কর।
১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী নির্দল প্রার্থী রুবিনা নাজও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এ দিন সন্ধ্যায় হুড খোলা বাসে চড়ে সপরিবারে কলকাতা প্রদক্ষিণ করেন ফিরহাদ হাকিম। সেই বাসেই দেখা যায় জয়ী নির্দল প্রার্থী রুবিনা নাজের স্বামীকেও। তিনি বলেছেন, 'আমরা সকলেই তৃণমূলই করি। কিন্তু, যিনি ১৩৫-এ প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের তিনি কংগ্রেস থেকে এসেছেন। গতবারের জয়ী কাউন্সিলর, কিন্তু কাজ করেননি। তাই মানুষের দাবি মেনে নির্দল হয়ে আমার স্ত্রী দাঁড়িয়ে জয় পেয়েছে। আবার তৃণমূলেই ফিরে যাবো।'
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন