কলকাতা পুরসভার মেয়র নির্বাচন বিলের মামলায় রাজ্য় সরকার স্বস্তিতে। হাইকোর্টের নির্দেশে ৩ ডিসেম্বর মেয়র নির্বাচন হবে কলকাতা পুরসভায়। এ নিয়ে আর কোনও বাধা রইল না। কাউন্সিলর না হলেও যে কেউই কলকাতা পুরসভায় মেয়র হতে পারবে এবং তাঁকে ৬ মাসের মধ্য়ে নির্বাচনে জয়লাভ করতে হবে। সম্প্রতি বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়। রাজ্য়পাল কেশরীনাথ ত্রিপঠীও ওই বিলে স্বাক্ষর করেছেন। যথারীতি পুরসভার মেয়রপদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। বিজেপি প্রার্থী করেছে মীনাদেবী পুরোহিতকে।
মেয়র সংক্রান্ত ওই বিলের বিরুদ্ধে মামলা করে বামেরা। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ওই মামলায় কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় ৩ ডিসেম্বর মেয়র নির্বাচনে কোনও বাধা রইল না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচনের ফলাফলের ওপরেই নির্ভর করবে মেয়র পদের ভবিষ্য়ত। এ বিষয়ে আদালত কোনও হস্থক্ষেপ করবে না। এ ব্যাপারে পুরসভা ও রাজ্য় সরকারকে হলফনানা জমা দিতে হবে। পরবর্তী মামলার দিন ধার্য করা হয়েছে সোমবার।
আরও পড়ুন, উলট পুরাণ: জলপাইগুড়িতে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে শতাধিক
হাইকোর্টে মেয়র মনোনয়ন সম্পর্কে মামলা করেন ৭৫ নম্বরের ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর বিলকিস বেগম। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন, পাশ হওয়া সংশোধিত পুর আইন অসাংবিধানিক। তাঁর মতে লোকসভা, বিধানসভা এবং পুর ও পঞ্চায়েত তিনটে স্তর রয়েছে। ভোটে না দাঁড়ালেও মুখ্য়মন্ত্রী হওয়া যায়। কিন্তু তাঁকে ৬ মাসের মধ্য়ে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হতে হয়। কিন্তু পুর আইনে বহিরাগতদের পদপ্রার্থী হওয়ার কোনও সংস্থান রাখা নেই। তাঁর সওয়াল, ১৯৮০ সালের ৭৪ তম সংশোধনীর ২৩৩(আর) ধারায় রয়েছে নির্বাচিত পুরপ্রতিনিধিকে মেয়র পদে নির্বাচিত বা মনোনীত করতে পারবেন কাউন্সিলররা। এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে বিধানসভায় সংশোধনী পাশ করা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
তখন বিচারপতি বসাক রাজ্য়ের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে প্রশ্ন করেন, পরবর্তীকালে মেয়র নির্বাচিত হলেও তিনি কি আভ্য়ন্তরীণ ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন? এজি জানান, এক্ষেত্রে কোনও সংস্থান নেই। সংশোধনী অনুযায়ী ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান কিশোর দত্ত।